জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদের প্রধান নেত্রী শেখ হাসিনাকে যদি পালিয়ে যেতে বাধ্য করে থাকি তাহলে রাজধানীর যে সমস্ত গুন্ডা, বিভিন্ন জেলা শহরে শেখ হাসিনার যে সমস্ত মাস্তান, আর উপজেলায় যেই সমস্ত হারিছ মার্কা চামচা রয়েছে তাদের নিয়ে কি কথা বলার কোন দরকার আছে। যারা বাঘ শিকার করে তারা তেলাপোকা নিয়ে কথা বলে না।
শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) গৌরনদীতে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশ প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য এম জহির উদ্দিন স্বপন এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, দেশের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী দায়িত্ব তেলাপোকা তো তেলাপোকা ছাড়পোকাও ছাড়া পাবে না।
আমরা খবর পেয়েছি গৌরনদীর ছাড়পোকারা কারাগারে ছারপোকার কামড় খায়। এই গৌরনদীর অনেক সন্ত্রাসীর ঘর বিক্ষুব্ধ জনতা গুঁড়িয়ে দিতে চেয়েছিল। বিএনপি’র বিজ্ঞ নেতৃবৃন্দরা দায়িত্ব নিয়ে তাদের করুণা করেছে। তাদের জীবনকে ভিক্ষা দিয়েছে। লজ্জা হয় না এই গৌরনদীর মাটিতে বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর হামলা-মামলা-জ্বালাও পোড়াও করে উদ্ধতপূর্ণ আচরণ করেছেন। আজকে যদি তারা একটা চুটকি মারে তিন প্রজন্মকে জেলে থাকতে হবে।
সাবেক এমপি জহির উদ্দিন স্বপন আরো বলেন, সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে সাগর-রুনীর চেতনায়। কে হতে চায় আর কে চায় না জনসভা করে মানুষকে তা জানিয়ে রাখবো। রাজনীতিবিদদের যেমন জবাবদিহিতার মধ্যে আসতে হবে তেমনি সকল মানুষকে জবাবদিহিতার মধ্যে আসতে হবে।
আগৈলঝাড়া উপজেলা ও পৌর এবং গৌরনদী উপজেলা ও পৌর বিএনপি’র আয়োজিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন গৌরনদী পৌর বিএনপির আহবায়ক শরিফ স্বপন। সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন বরিশাল জেলা (উত্তর) বিএনপি’র সদস্য সচিব মোহাম্মদ মিজানুর রহমান মুকুল।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন গৌরনদী উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক সৈয়দ সরোয়ার আলম বিপ্লব, সদস্য সচিব হান্নান শরীফ, পৌর বিএনপি’র সদস্য সচিব ফরিদ মিয়া, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শামীমুল হক প্রমুখ।