রবিবার, ০৩:২৪ অপরাহ্ন, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
নোটিশ :
মানব সেবায় নিয়োজিত অলাভজনক সেবা প্রদানকারী সংবাদ তথ্য প্রতিষ্ঠান।

বাউফল ইউএনও’র বিরুদ্ধে পটুয়াখালীতে সংবাদ সম্মেলন

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ৬ এপ্রিল, ২০২৩
  • ৭৪ বার পঠিত

মু,হেলাল আহম্মেদ(রিপন) পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ

 

পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কর্তৃক জোর পূর্বক মালিকানা জমি দখল করে গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার শেখ হাসিনার স্বপ্ন গৃহহীনদের ঘড় দেয়া হচ্ছে।আজ সেখানেই মালিকানা জমিতে গৃহহীনদের জন্য ঘড় নির্মানের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী প্রতিকার চেয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন। এবং আদালত কর্তৃক অস্থায়ি নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল আমিন নিজ ক্ষমতায় কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ করা হয়।

 

অদ্য ৬ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সকালে পটুয়াখালী জেলা প্রেসক্লাব কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত বক্তব্যে এ অভিযোগ করা হয়। তবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার দাবী করেন সরকারী খাস জমিতেই নির্মান কাজ চলছে, ব্যক্তিমালিকানাধীন কারো জমি জবর দখল করা হয়নি।

 

৬ এপ্রিল ভুক্তভোগী সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আব্দুস সালাম দাবী করেন, ‘ভুক্তভোগী মোঃ আঃ কাদের মুন্সী (৯৯) পিতা- মৃত: আঃ লতিফ মুন্সী, আঃ রশিদ মৃধা (৬০) পিতা- মৃত: হামেদ আলী মৃধা, হাজী আবদুস সালাম (৫৫) পিতা- আঃ কাদের মুন্সী, মোঃ শহিদ মুন্সি (৪০) পিতা- কাদের মুন্সী, মোসাঃ হাছিনা বেগম (৫০), পিতা-আঃ কাদের মুন্সী সহ আরো ১৪ জন পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলার কাছিপাড়া ইউনিয়নের ছত্রকান্দা গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি স্থানীয় ছত্রকান্দা মৌজা জেল নং-০৬, এস.এ খতিয়ান নং ৫৯, দাগ নং- ৪৩২, জমি ৫৩ শতাংশ। একই মৌজায় ২৬২নং খতিয়ানের ৪৩২/৮৪৫ নং দাগের জমি ২০ শতাংশ জমির একুনে ৭৩ শতাংশ জমিরচৌহুদ্দি দেয়া আছে এবং এগুলো তাদের ভোগ দখলে রয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি সরকারের অবাসন প্রকল্প তৈরীর জন্য তাদের ব্যক্তিমালিকানধীন জমি দখল করে নির্মান কাজ শুরু করেন সরকারী পক্ষের উপজেলা প্রশাসন । ভোগ দখলী বসত বাড়ী পৈত্রিক সম্পত্তির রেইনট্রি, চাম্বুল, মেহগুনি সহ বিভিন্ন ফলজ ও বনজ গাছ-পালাকেটে বিক্রি করে দেয় উপজেলা প্রশাসন। যার আনুমানিক মূল্য পাঁচ লক্ষ টাকার মত। এ ঘটনায় গত ১৫ ফেব্রুয়ারী পটুয়াখালী আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়। যাহার মামলা নং ৪০/২০২৩ ইং আদালত মামলার অভিযোগের সত্যতা পেয়ে বাউফল সহকারী জজ আদালত সাত দিনের মধ্যে বিবাদীদের জবাব দেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। কিন্তু বিবাদীরা বিজ্ঞ আদালতের আদেশ অমান্য করে তাদের পৈত্রিক সম্পত্তিতে প্রবেশ করে গাছ-পালা কেটে বিক্রি করলে পুনরায় গত ২ মার্চ আদালত অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আবেদন করলে আদালত অন্তবর্তী কালিন অস্থায়ী নিষেধাাজ্ঞা জারী করে। তবে আদালতের নিষেধাজ্ঞা জারির পরও উপজেলা নির্বাহী অফিসার জোর পূর্বক নির্মান কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানান ভুক্তভোগী। এসময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ভুক্তভোগী হাসিনা বেগম বলেন, ‘আমাদের পৈত্রিক জমি অবৈধ ভাবে আদালতের নির্দেশ অমান্য করে দখল করার প্রতিবাদ করায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার আমাকে অবৈধ ভাবে গ্রেফতার করে তিন মাসের সাজা দিয়ে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। ২৯ মার্চ আদালত আমাকে বেকচুর খালাস প্রদান করেন। বর্তমানে আমাদের সম্পত্তিতে জোড় পূর্বক ভাবে ঘর তোলা চলমান রয়েছে। আমরা আমাদের ন্যয্য জমি চাই।এবং অন্যায়কারীর দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবিজানাই। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত আঃ রশিদ মৃধা বলেন, ‘ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার নিজেও জানে যে জমির মালিক আমরা আর পাশের জমি সরকারী। এর পরও তারা আমাদের জমি দখল করে কাজ করছে। যেহেতু পাশে পুকুর আছে সেটা ভরাট করতে তাদের বেশি খরচ হবে। এ কারনে আমাদের ভরাট করা জমিতে তারা ঘর নির্মান করছে। এছাড়া সার্ভেয়ার কামরুল হাসান এবং ভূমি অফিসের তহসিলদার বাপ্পি বিষয়টি সমাধান করার জন্য ভুক্তভোগী পরিবারের কাছে টাকা দাবী করেছেন বলেও সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী আব্দুল রশিদ মৃধা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাউফল উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল-আমিন বলেন, সরকারী জমিতে ভূমিহীনদের জন্য ঘর নির্মান করা হচ্ছে। এখানে কারো ব্যক্তিমালিকানাধীন জমিতে ঘর তৈরী করা হচ্ছে না। আর আদালত যেই জমিতে নিশেধাজ্ঞা দিয়েছে সেখানে আমরা কাজ করছি না। হাসিনা বেগম কে মোবাইল কোর্টে সাজা দেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ইউএনও বলেন,‘ সরকারী কাজে বাঁধাদানের আপরাধে তাকে তিন মাসের কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছিল এমনটাই জানান তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2021 SomoyerKonthodhoni
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com