পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নে জেলেদের বরাদ্দকৃত “মানবিক কর্মসূচী”র আওতায় নিবন্ধনকৃত দরিদ্র জেলেদের জন্য ৪০ কেজি হারে চাল বরাদ্দ হলেও দেয়া হয়েছে ৩০ কেজি করে। বরাদ্দের বাকি ৭ টন চাল আতœসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে নাজিরপুর ইউপি সদস্য মিন্টুর বিরুদ্ধে। সম্প্রতি নাজিরপুর ইউনিয়নে জেলেদের মাঝে চাল বিতরণকালে এমন অভিযোগ উঠেছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, নাজিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের পাশে ধানদী কামিল মাদ্রাসা মাঠে চাল বিতরণ করছিলেন ইউপি সদস্যরা। কিন্তু জেলেদের মাঝে ৩০ কেজি করে চাল দেয়া হচ্ছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন দায়িত্বপ্রাপ্ত ট্যাগ অফিসার ও ইউপি সচিব। এদিকে ২০২২-২৩ অর্থ বছরে জাটকা আহরণে বিরত থাকা দরিদ্র জেলেদের জন্য “মানবিক কর্মসূচী”র আওতায় নাজিরপুর ইউনিয়নের ৬৮৩ জন নিবন্ধনকৃত জেলেদের মাঝে ৪০ কেজি হারে ২৭.৩২০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল।
শনিবার (২৫ মার্চ) জেলে মো. রেজাউল করিমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আগে ৪০ কেজি করে চাল পেতাম। এবার দিয়েছে ২৪ কেজি। চাল আনার সময় বলেছে ৩০ কেজি আছে বস্তায়। পরে এক দোকানে মাপ দিয়ে দেখি বস্তায় চাল রয়েছে ২৩কেজি ৯০০ গ্রাম। অপর এক জেলে শাজাহান সরদার জানান, আগে ৪০ কেজি করে চাল দেয়া হত, এবার ৩০ কেজি করে দেয়া হয়েছে। জেলে জাকির হোসেন ও জেলে ফিরোজ জামানকেও ৩০কেজি করে চাল দেয়া হয়েছে। এদিকে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ইউপি সদস্য আহসান হাবিব মিন্টু বলেন, এবারের মত ভুল হয়েছে। মাফ করেন। পত্রিকায় কিছু লেখার দরকার নাই। অপরদিকে প্যানেল চেয়ারম্যান মো. আলম হোসেন বলেন, চাল কম পাওয়ায় জেলেদের মধ্যে ৩০ কেজি করে চাল দিয়ে সমন্বয় করা হয়েছে। জেলেদের মধ্যে ৩০ কেজি করে চাল দিলেও ৫মেট্রিক টন চাল অবশিষ্ঠ থাকে। যার বর্তমান বাজার মূল্য আড়াই লাখ টাকার বেশি। অবশিষ্ঠ সেই চাল কোথায় জানতে চাইলে তিনি কোনো কোনো উত্তর দেননি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আল আমিন বলেন, নিবন্ধনকৃত প্রতি জেলেদের যেভাবে বরাদ্দ দেয়া সেভাবেই চল বিরতণ করতে হবে। কম দিলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। উপজেলা সিনিয়র সহকারী মৎস্য অফিসার মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
নাজিরপুর ইউনিয়নের দায়িত্ব প্রাপ্ত ট্যাগ অফিসার উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান বলেন, বরাদ্দ কম, তাই জেলেদের সাথে সমন্বয় করে চাল দিতে হয়েছে।