পটুয়াখালীর বাউফলে ব্ল্যাকমেইল করে এক গৃহবধূকে ভাগিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মো. আরিফুজ্জামান খান রিয়াদ নামের এক যুবলীগ নেতা ও একটি জাতীয় দৈনিকের (যুগান্তর) স্টাফ রিপোর্টারের বিরুদ্ধে।
ওই ঘটনায় বুধবার (২৬ জুন) ভুক্তভোগী নারীর স্বামী মাইনুল ইসলাম বাদী হয়ে পটুয়াখালী জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ২য় আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
অভিযুক্ত মো. আরিফুজ্জামান খান রিয়াদ বিবাহিত ও এক সন্তানের জনক। তিনি বাউফল পৌর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং পৌর শহরের ৪নং ওয়ার্ডের আজাহার আলী ওরফে মিয়া খানের ছেলে।
মামলায় ওই নারীর বাবা, মা ও দুই চাচাকে সাক্ষী করা হয়েছে। আদালত আগামী ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য বাউফল থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।
এজাহারে মাইনুল ইসলাম উল্লেখ করেন, আরিফুজ্জামান খান রিয়াদ তার স্ত্রীকে (২৩) বিভিন্ন সময় উত্ত্যক্ত করত। একপর্যায়ে তিনি জোরপূর্বক তার স্ত্রীর সঙ্গে কুরুচিপূর্ণ ছবি তুলেন এবং ওই ছবি দিয়ে তাকে ব্ল্যাকমেইল করতে থাকেন। গত ১৩ জুন ভোর রাতে তার স্ত্রীকে রিয়াদের সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় তার শাশুড়ি দেখতে পান। এ সময় তিনি চিৎকার করলে রিয়াদ খান তার স্ত্রীকে নিয়ে পালিয়ে যান। এ সময় হৃদয় নামের এক যুবক তাদের পালাতে সহায়তা করেন। বর্তমানে রিয়াদ খান তার স্ত্রীকে নিয়ে অজ্ঞাত স্থানে গা ঢাকা দিয়েছেন।
এ বিষয়ে বাদীপক্ষের আইনজীবী আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, বাদীর নালিশি পিটিশনের উপর যুক্তি-তর্ক উপস্থাপন করার পর আদালত বাউফল থানার ওসিকে আগামী ৩০ কার্য দিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মো. আরিফুল ইসলাম খান রিয়াদ পলাতক থাকায় তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
বাউফল থানার ওসি শোনিত কুমার গায়েন বলেন, এ বিষয়ে আমি এখন পর্যন্ত আদালতের কোনো নির্দেশ হাতে পাইনি। আদালতের নির্দেশনা পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।