র্যাব-৮, সিপিসি-১, পটুয়াখালী ক্যাম্প এবং র্যাব-১০, সদর কোম্পানী, কেরানীগঞ্জ এর একটি যৌথ আভিযানিক দল অদ্য ইং ০৬/০৭/২০২৪ তারিখ সময় অনুমান বিকেল ৫ টায় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ডিএমপি, ঢাকার কদমতলী থানাথীন সুফিয়া হাসপাতালের সামনে অভিযান পরিচালনা করে গণধর্ষণ মামলার প্রধান আসামী মোঃ বাবু মৃধা (৩২) ওরফে পিস্তল বাবু পিতা-মোফাজ্জেল মৃধা, মাতা- মোছাঃ শিল্পি বেগম, সাং-শাপলাখালী, থানা-বাউফল, জেলা-পটুয়াখালী’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।ঘটনার বিবরণে জানা যায়, পটুয়াখালী জেলার বাউফল থানার ধর্ষিতা তরুনী (১৭) একাদশ শ্রেণীর একজন শিক্ষার্থী। ঘটনার দিন গত ১১/০৬/২০২৪ইং তারিখ সকাল আনুমানিক ৮:৩০ ঘটিকায় প্রতিদিনের ন্যায় ভিকটিম তার কলেজে গমন করে। কলেজ শেষে বাড়িতে ফেরার পথে ৩ নং আসামী সোহেল তাকে অটোরিক্সাযোগে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে রওনা হয়। কিন্তু তাকে তার বাড়ির সামনে না নামিয়ে বাড়ি থেকে একটু দূরে জনৈক আমির সিকদার এর বাড়ির সামনে নামিয়ে দেয়। সেখান থেকে ভিকটিম পায়ে হেটে রওনা হলে আসামী বাবু ও তার সহযোগী ২ নং আসামী সুমন তার পিছু নেয় এবং তাকে দাড় করিয়ে তার বাড়ির ঠিকানা জিজ্ঞাসা করে এবং পথরোধ করে। পরবর্তীতে আসামীরা ভিকটিমকে হাত ধরে টেনে নিয়ে জনৈক আমির সিকদার এর টিনশেড বসত ঘরের ভিতর নিয়ে যায়। আসামীরা উক্ত ঘরে থাকা এক মহিলাকে বের করে দিয়ে ভিকটিমকে হত্যার ভয় দেখায়। পরে ১ নং আসামী ভিকটিমকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে ২ নং আসামী সহ অজ্ঞাতনামা আরও ২ জন আসামী রাস্তা থেকে ৩ নং আসামীকে ডেকে নিয়ে আসে এবং তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে তাকে দিয়ে ভিকটিমকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করায়। ৩ নং আসামীকে দিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করানোর সময় ১ নং আসামী ভিডিও ধারণ করে রাখে এবং উক্ত ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে ৩ নং আসামীর নিকট হতে নগদ ৪,৫০০/- নিয়ে তাদেরকে ছেড়ে দেয়। পরবর্তীতে ধর্ষিতা তরুনী বাদী হয়ে আসামীদের বিরুদ্ধে পটুয়াখালী জেলার বাউফল থানায় একটি মামলা দায়ের করে (বাউফল থানার মামলা নং-১৯ তারিখঃ ১৪/০৬/২০২৪ইং, ধারাঃ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী-২০০৩) এর ৯(৩)/৩০ ধারা।