ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় তাদের দৈনিক গোয়েন্দা প্রতিবেদনে শনিবার উল্লেখ করেছে, ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের প্রথম বর্ষপূর্তি যত এগিয়ে আসছে, রাশিয়া ততই ‘কঠিন পথ বেছে নেয়ার’ মুখোমুখি হচ্ছে।
এ সপ্তাহের শুরুতে ওয়াগনার গ্রুপ ঘোষণা দিয়েছে যে তারা ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর জন্য যোদ্ধা সরবরাহ করার জন্য কয়েদী নিয়োগ কর্মসূচি স্থগিত রেখেছে। এমন প্রেক্ষাপটে যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, রাশিয়াকে এখন সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে তারা কী তাদের ‘বাহিনীর শক্তিমত্তা কমাতে থাকা অব্যাহত রাখবে, যুদ্ধের লক্ষ্য অর্জনকে ব্যাহত করবে; নাকি আরো নতুন সেনা সমাবেশের দিকে এগুবে’। এ সিদ্ধান্তকেই ‘কঠিন পথ বেছে নেয়া’ বলে অভিহিত করা হয়।
হোয়াইট হাউজ শুক্রবার ঘোষণা করেছে, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন পোল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেজ দুদা ও পূর্ব ইউরোপের মিত্রদের সাথে দেখা করার উদ্দেশে ২০ ফেব্রুয়ারি পোল্যান্ড সফরে যাবেন।
হোয়াইট হাউজের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কার্বি জানান, ২৪ ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনের রাশিয়ার আগ্রাসনের বর্ষপূর্তির ঠিক আগে বাইডেনের এই সফর ‘এটা নিশ্চিত করবে যে যতদিন প্রয়োজন, ততদিন যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের পাশে থাকবে’।
এই ঘোষণা এমন সময় এলো যখন শুক্রবার রাশিয়া ইউক্রেনের বিভিন্ন অংশে বড় পরিসরে হামলা চালিয়েছে। সামরিক ব্যক্তি ও অবকাঠামো লক্ষ্য করে ব্যাপক গোলাবর্ষণ করে রাশিয়া। আর, এতে বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দেয়।
ইউক্রেনের জ্বালানিমন্ত্রী হেরমান হালুশচেঙ্কো নিশ্চিত করেছেন, দেশটির ৬টি অঞ্চলে তাপ বিদ্যুৎ ও জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং উচ্চ-ভোল্টেজের অবকাঠামোর ওপর হামলা হয়েছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি রাশিয়ার এই ব্যাপক পরিসরের হামলাকে ‘ন্যাটো এবং সম্মিলিত নিরাপত্তার প্রতি চ্যালেঞ্জ’ হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি এক ভিডিও বার্তায় আরো জানান, এটি একটি সন্ত্রাস, যা বন্ধ করা যায় এবং অবশ্যই এটা বন্ধ করতে হবে।