তকে বলা হতো বাংলা চলচ্চিত্রের রাজপুত্র। সমসাময়িক সময়ে তার স্টাইল, ফ্যাশন, ট্রেন্ড ছিল তরুণ প্রজন্মের কাছে ক্রেজ। আর তাই হয়তো মৃত্যুর দু’যুগ পরেও তার জনপ্রিয়তা এখনো আকাশচুম্বী। বলছি বাংলা চলচ্চিত্রের ক্ষণজন্মা রাজকুমার সালমান শাহ’র কথা।
মাত্র চার বছরের ক্যরিয়ারে কাজ করেছেন অসংখ্য ব্যবসা সফল চলচ্চিত্রে। অর্জন করেছেন অভাবনীয় সাফল্য। স্বল্পদৈর্ঘ্যের তার এই ক্যারিয়ার এখনো পূর্ণদৈর্ঘ্য হয়ে আছে অসীম রূপালি ভুবনে। আর তাই হয়তো এ অকালমৃত্যু তাকে দিয়েছে অমরত্ব।
আজ ১৯ সেপ্টেম্বর এই মহান গুণী শিল্পীর জন্মদিন। ১৯৭১ সালের এ দিনে সিলেটের দাড়িয়াপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি। বাবা কমরউদ্দিন চৌধুরী ও মা নীলা চৌধুরীর বড় ছেলে সালমানের ডাক নাম ছিল শাহরিয়ার চৌধুরী ইমন। তবে চলচ্চিত্র অঙ্গনে সালমান শাহ নামেই তিনি সর্বাধিক পরিচিত।
মাত্র চার বছরের ক্যারিয়ারে ২৭টি সিনেমায় অভিনয় করেন তিনি। তার মধ্যে অন্যতম- অন্তরে অন্তরে, সুজন সখী, স্বপ্নের নায়ক, স্বপ্নের ঠিকানা, চাওয়া থেকে পাওয়া, জীবন সংসার, প্রেম প্রিয়াসী, সত্যের মৃত্যু নেই, মায়ের অধিকার, এই ঘর এই সংসার, তোমাকে চাই, আনন্দ অশ্রু, বুকের ভেতর আগুন ইত্যাদি।
চলচ্চিত্রের পর্দায় সালমান শাহের সাথে চিত্রনায়িকা শাবনূরের জুটি ছিল সর্বাধিক জনপ্রিয়। তাদেরকে বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে সেরা জুটিও বলেন ভক্তরা। এই জুটির প্রতিটি ছবিই ছিল সুপারহিট। তাদের পর্দার রসায়নও ছিল নজরকাড়া। তবে পর্দার এই রসায়নের প্রভাব পড়ে ছিল বাস্তব জীবনেও। হতে হয়েছে তুমুল আলোচনার পাত্র।
১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ঢাকার ইস্কাটনে নিজ বাসা থেকে এই গুণী অভিনেতা ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে আত্মহত্যা বলে উল্লেখ করা হলেও তার মৃত্যুর রহস্যজট আজও খুলেনি।