‘বাংলাদেশ নয়, ভারতের বন্ধুত্ব শুধু শেখ হাসিনার সাথে’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, ভারত এ দেশের মানুষের সাথে বন্ধুত্ব করে না, তাই তাদের পণ্য বর্জন করেছি।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজশাহী নগরীর ভুবন মোহন পার্কে ‘দেশীয় পণ্য কিনে হও ধন্য’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘বাংলাদেশের ২৭ লাখ টন পেঁয়াজের চাহিদা। উৎপাদন করি ৩৭ লাখ টন। নানা কারসাজি করে পেঁয়াজের দাম বাড়ানো হয় এবং ভারত থেকে কোটি কোটি টাকা দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি করা হয়। আমাদের ব্যবস্থাপনা যদি ঠিক করা যায়, তাহলে কেউ পেঁয়াজ নেবে না।’
তিনি বলেন, ‘ওরা মনে করেছে, আমরা ওদের ওপর নির্ভরশীল। ওদের ছাড়া আমাদের চলবে না। এখন দেখছে কলকাতা নিউ মার্কেট বন্ধ, দোকানগুলো চলে না। আমরা আর কারো মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে চাই না। এটা আমরা ভারতকে জানিয়ে দিতে চাই।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের টাঙ্গাইলের শাড়ি, কুমারখালীর লুঙ্গি-গামছা সারা পৃথিবীতে এক্সপোর্ট হয়। আমাদের জামদানি শাড়ি, তাঁতের শাড়ি, রাজশাহীর সিল্ক পৃথিবী বিখ্যাত। এখনো বিয়েশাদি হলে রাজশাহী সিল্ক পরিধান করি। তাহলে কেন এ দেশের নারীরা ভারতীয় শাড়ি কিনবে? কিনতে আপত্তি নেই। কিন্তু তারা যখন আমাদের উপহাস করে, তখন আমরা কেন কিনব? কেন আমরা মুখাপেক্ষী থাকব? আমরা মুখাপেক্ষী থাকব না।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ আলী ঈশা।
এতে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, জেলা বিএনপির সদস্যসচিব বিশ্বনাথ সরকার, মহানগর সদস্যসচিব মামুনুর রশিদ, যুগ্ম আহ্বায়ক আসলাম সরকার, ওয়ালিউর রহমান রানা প্রমুখ।
এ দিকে, রুহুল কবির রিজভী ভারতীয় আগ্রাসনের প্রতিবাদে রাজস্থানের জয়পুর টেক্সটাইলের একটি বিছানার চাদর ছুঁড়ে ফেলেন। এরপর দলীয় নেতাকর্মীরা কেরোসিন ঢেলে বিছানার চাদরটিতে আগুন জ্বালিয়ে দেন।