বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতিশীল খাতগুলোতে ব্রুনাইয়ের বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
সিটিস্কেপ ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড আয়োজিত সেমিনারে জানালেন ঢাকাস্থ ব্রুনাই হাইকমিশনার হাজী হারিস ওথমান
সিটিস্কেপ ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড-এর উদ্যোগে ‘বিদেশী বিনিয়োগকারীদের জন্য বাংলাদেশ একটি লাভজনক গন্তব্য’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত
বিদেশী বিনিয়োগকারীদের জন্য বাংলাদেশকে একটি লাভজনক গন্তব্য হিসেবে উপস্থাপন করতে “বাংলাদেশ: বিদেশী বিনিয়োগের জন্য আকর্ষণীয় গন্তব্য” শীর্ষক একটি সেমিনারের আয়োজন করে সিটিস্কেপ ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড এবং বেটার বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন (বিবিএফ)। গত ১লা মে, ২০২৩ রাজধানীর গুলশান এভিনিউ-তে অবস্থিত সিটিস্কেপ টাওয়ারের এই সেমিনারটি আয়োজন করা হয়। ইভেন্টটিতে গত পাঁচ দশকে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন ও অগ্রগতি প্রদর্শন করা হয়। সেমিনারের উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশের বিভিন্ন সেক্টরে বিনিয়োগের বিপুল সম্ভাবনাগুলো তুলে ধরা এবং দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানদেরকে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে আকৃষ্ট করা।
সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকাস্থ ব্রুনাই হাইকমিশনার হাজী হারিস ওথমান। সিটিস্কেপ ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের c‡ÿ cÖwZwbwaZ¡ K‡ib cÖwZôv‡bi নির্বাহী পরিচালক Rbvev শারমিন বিনতে সিদ্দিক Ges ডিরেক্টর অফ অপারেশন লেফটেন্যান্ট Rbve কর্নেল শেখ আবিদুর রহমান, পিএসসি, জি+ (অব.), Ges বেটার বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন ও বেটার বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন গ্লোবাল-এর c‡ÿ cÖwZwbwaZ¡ K‡ib cÖwZôv‡bi †Pqvig¨b Rbve চেয়ারম্যান প্রফেসর মাসুদ এ খান ।
প্রধান অতিথি এইচজে হারিস ওথমান তাঁর বক্তব্যে ব্রুনাই এবং বাংলাদেশের মধ্যে চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উপর জোর দেন। তিনি সরকারের উদ্যোগগুলিকে দেশের অগ্রগতির সহায়ক হিসাবে তুলে ধরেন এবং বাংলাদেশের দেশীয় বাজারের আকার, যথেষ্ট শ্রমশক্তি এবং সাশ্রয়ী শ্রমিকসহ নানা ইতিবাচক বিষয়গুলো তুলে ধরেন, যা বাংলাদেশকে একটি লোভনীয় বিনিয়োগ গন্তব্য করে তুলেছে বলে তিনি মতামত দেন। এইচজে হারিস সাম্প্রতিক সময়ে কৃষি, মৎস্য, প্রাণিসম্পদ, জ্বালানি এবং পর্যটনসহ অনেকগুলো সেক্টরে ব্রুনাইয়ের সাথে বাংলাদেশের চুক্তি নিয়ে আলোচনা করেন এবং বাংলাদেশের অন্যান্য প্রতিশ্রুতিশীল খাতগুলোতে বিনিয়োগে ব্রুনাইয়ের গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেন।
বেটার বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন ও বেটার বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন গ্লোবাল-এর চেয়ারম্যান প্রফেসর মাসুদ এ খান সেমিনারের সভাপতিত্ব করেন। সভাপতির বক্তব্যে বিবিএফ ও বিবিএফ গ্লোবালের চেয়ারম্যান মাসুদ এ খান বলেন, সাম্প্রতিক শিল্প বিপ্লবের ফলে বাংলাদেশ একটি বিপুল সম্ভাবনার দেশ হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় বাংলাদেশের এগিয়ে চলা ও একটি স্মার্ট দেশে রূপান্তরিত হওয়ার বিষয়টি নিয়ে তিনি আলোচনা করেন। ব্রুনাইসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের জন্য ভবিষ্যতে বিনিয়োগের ক্ষেত্র হিসেবে বাংলাদেশকে একটি আকর্ষণীয় গন্তব্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টার উপর জোর দেন।
সিটিস্কেপ ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক শারমিন বিনতে সিদ্দিক বলেন, “বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কাজ করছে দেশকে সারা পৃথিবীর কাছে পরিচয় করিয়ে দিতে নতুন নতুন আইডিয়া ও কার্যক্রম দিয়ে এবং সিটিস্কেপ ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড তাদের মধ্যে অন্যতম। আমরা চাই সারা পৃথিবীর উদ্যোক্তারা বাংলাদেশী নতুন উদ্যোগগুলোতে বিনিয়োগ প্রদান করুক এবং এর মাধ্যমে তাঁরা যেমন লাভবান হবেন তেমনি দেশের উন্নয়ন হবে। সিটিস্কেপ ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড নানা উদ্যোগের মাধ্যমে সারা পৃথিবীর বিনিয়োগকারীদের কাছে বাংলাদেশকে চেনাতে চায়।”
অনুষ্ঠানটির উদ্যোক্তা সিটিস্কেপ ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড ডিরেক্টর অফ অপারেশন লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ আবিদুর রহমান, পিএসসি, জি+ (অব.) গ্রিন ও সাস্টেইনেবিলিটি অর্জনের লক্ষ্যে কোম্পানির গৃহীত পদক্ষেপ তুলে ধরেন এবং সিটিস্কেপ ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড কিভাবে দেশের উন্নয়নে ও গ্রিন বিপ্লবের পথপ্রদর্শক হিসেবে একটি বেঞ্চমার্ক প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করেছে তা সকলের মাঝে তুলে ধরেন। গত এক দশকে বৈপ্লবিক উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে তিনি সরকারের চমৎকার উদ্যোগগুলোর প্রশংসা করেন। তিনি শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবায় বিদেশী বিনিয়োগকারীদেরকে বর্তমান বিনিয়োগ সম্ভাবনা পুঁজি করার আহ্বান জানান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ ও প্রসাদ গ্রুপ অব কোম্পানিজের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আবু ইউসুফ মোঃ আবদুল্লাহ, ডিবিসি নিউজ-এর সিইও এবং প্রধান সম্পাদক জনাব মোহাম্মদ মনজুরুল ইসলাম এবং এটিএন নিউজ-এর সিইও কর্নেল মীর মোঃ মোতাহের হাসান। প্রত্যেকেই বাংলাদেশের বিনিয়োগের সম্ভাবনা ও ভবিষ্যত সম্পর্কে তাঁদের মূল্যবান মতামত দেন এবং বিভিন্ন দেশের সাথে বাংলাদেশের বিনিয়োগের সুযোগ ক্রমে ক্রমে বাড়ছে বলে জানান।
সেমিনারে অংশগ্রহণকারী বিদেশী অতিথি এবং স্থানীয় ব্যক্তিত্বরা নানা বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা করেন এবং সেমিনার শেষে সবাই নিজেদের মধ্যে নেটওয়ার্কিংয়েরও সুযোগ পান। অতিথিরা সেমিনারের আয়োজকদের প্রশংসা করেন এবং আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে এই ধরনের উদ্যোগ নতুন সুযোগের পথ প্রশস্ত করবে।