প্রতীক পাওয়ার পর পরই জমে উঠেছে বরিশাল সিটি করপোরেশনের নির্বাচন। এতে একদিকে যেমন উৎসবের আমেজ তৈরি হয়েছে অন্যদিকে ভোট ও ভোটারদের ওপর প্রভার বিস্তারে প্রার্থীরা সচেষ্ট। এদিকে ভোটের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা ও আচরণবিধি সমুন্নত রাখতে ১০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিযুক্ত করেছে নির্বাচন কমিশন।
শনিবার (২৭ মে) রাতে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা হুমায়ূন কবির এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ২৫ মে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের যুক্ত করা হলেও তা প্রকাশ করা হয়েছে শনিবার। ১০ জুন পর্যন্ত নির্ধারিত ওয়ার্ডে তারা দায়িত্ব পালন করবেন।
এরমধ্যে ১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডে দায়িত্ব পালন করবেন বরিশাল জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তারিকুল ইসলাম; ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডে সুব্রত বিশ্বাস দাস; ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডে কামরুন্নাহার তামান্না; ১০, ১১ ও ১২ নম্বর ওয়ার্ডে মহিন উদ্দিন; ১৩, ১৪ ও ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে আবু আবদুল্লাহ খান; ১৬, ১৭ ও ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে রয়া ত্রিপুরা; ১৯, ২০ ও ২১ নম্বর ওয়ার্ডে দেবযানী কর; ২২, ২৩ ও ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে অংমাচিং মারমা; ২৫, ২৬ ও ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে মুশফিকুর রহমান, ২৮, ২৯ ও ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে জাবেদ হোসেন চৌধুরী।
রিটার্নিং কর্মকর্তা হুমায়ূন কবির বলেন, নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করার জন্য নির্বাচন কমিশন এবং আমরা বদ্ধপরিকর। প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। প্রতিদিন দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মাইকিং করতে পারবে। অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পূর্বশর্ত হচ্ছে আচরণবিধি মেনে চলা। প্রার্থীরা যদি নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলে তাহলে একটি সুন্দর ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনী প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে নির্বাচনের ৩২ ঘণ্টা পূর্ব পর্যন্ত আচরণবিধি দেখভালের জন্য ১০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি আচরণবিধি সমুন্নত করতে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তারাও নির্বাচনী এলাকা পর্যবেক্ষণ করবেন। যদি কোনো প্রার্থী নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করে তাহলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, আগামী ১২ জুন ১২৬টি কেন্দ্রের ৮৯৪ কক্ষে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ৫৮ বর্গকিলোমিটার নগরীতে মোট ভোটার ২ লাখ ৭৬ হাজার ২৯৮ জন। এরমধ্যে নারী ভোটার ১ লাখ ৩৮ হাজার ৮০৯ জন এবং পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৮৯ জন। এতে মেয়র পদে ৭ জন, সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে ১১৬ জন এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ৪২ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।