বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডে ২০০০ সালে ৩১ জন কর্মচারী যোগদান করেন একই স্কেলে। ২০০৪ সালে ৩১ জনের মধ্যে থেকে ১১ জনকে উচ্চতর স্কেল প্রদান করেন বোর্ড। এ নিয়ে উচ্চতর স্কেল বঞ্চিতরা পরবর্তীতে ২০১১ সালে হাইকোর্টে মামলা করেন।
যার মামলা নং ৯০৫৫/২০১১। হাইকোর্ট ২০১৮ সালে বঞ্চিতদের পক্ষে রায় প্রদান করেন এবং রায় চ্যালেঞ্জ করে ২০২০ সালে উচ্চতর স্কেল ভোগিরা সুপ্রিম কোর্টে লিভ-টু অপিল করেন অপিল নং ৯০৯/২০২০ যা চলমান। আর এই পদোন্নতি নিয়ে নয় ছয়ের অভিযোগ করেন পদোন্নতি বঞ্চিতরা। সূত্র মতে, শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের অর্ডিন্যান্স অনুযায়ী কর্মচারিদের পদোন্নতি প্রদানের পূর্বে সিলেকশন কমিটি, অর্থ কমিটি ও বোর্ড কমিটির অনুমোদন নিতে হয়।
যার সদস্য হলেন রাষ্ট্রপতির প্রতিনিধি, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, ডিভিশনাল কন্ট্রলার অব একাউটন্স ও সরকারী কলেজের অধ্যক্ষগণ। কিন্তু শিক্ষাবোর্ডের বর্তমান চেয়ারমান প্রফেসর ইউনুস আলি সিদ্দিকি কর্মচারিদের পদোন্নতি প্রদানের জন্য তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি যাচাই বাছাই কমিটি করেন। যাতে আহবায়ক করা হয় শিক্ষাবোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শক মোঃ রফিকুল ইসলাম খান, সদস্য হিসাব রক্ষন কর্মকর্তা মোঃ মামুন হোসেন ও উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মোঃ নজরুল ইসলাম।
এছাড়াও চলতি মাসের পহেলা অক্টোবর একটি সিকেলশন কমিটিও গঠন করা হয়। এ নিয়ে গতকাল আলাপকালে বরিশাল শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যান ইউনুস আলী সিদ্দিকি জানান, আমি বরিশাল শিক্ষা বোর্ডে জয়েন করার পর থেকে সুন্দরভাবে পরিচালনা করে আসছি। এরপর আমি এই কর্মচারীদের পদোন্নতির বিষয়ে আমি উভয় পক্ষের সাথে কথা বলে সমঝোতার চেষ্টা করছি।