বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হলের একটি শৌচাগার থেকে বেশ কিছু দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। আজ মঙ্গলবার ভোরে উদ্ধার করা দা, কাঁচি, জিআই পাইপ, স্টাম্পসহ কিছু দেশীয় অস্ত্র হল কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দিয়েছেন তাঁরা।
এর আগে ৩ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের শের-ই-বাংলা হলের কয়েকটি কক্ষ থেকে বিপুলসংখ্যক জিআই পাইপ, রড, ধারালো অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য উদ্ধার করে হল কর্তৃপক্ষ। হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে অভিযান চালিয়ে এসব অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। ওই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের তিন নেতা-কর্মীকে হল থেকে বহিষ্কার করে কর্তৃপক্ষ।
বঙ্গবন্ধু হলের প্রাধ্যক্ষ আরিফ হোসেন বলেন, হলের একটি শৌচাগারের ফলস ছাদ থেকে কিছু অস্ত্র উদ্ধার করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ ব্যাপারে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বঙ্গবন্ধু হলের আবাসিক শিক্ষার্থী আশিকুল ইসলাম বলেন, আজ ভোররাতে ঘুম থেকে উঠে তিনি শৌচাগারের দিকে যান। সেখানে হট্টগোল শুনতে পান। পরে অন্য শিক্ষার্থীরা উপস্থিত হয়ে একটি শৌচাগারের ওপরে কয়েকটি দা, কাঁচি, জিআই পাইপ, স্টাম্পসহ কিছু দেশীয় অস্ত্র দেখতে পান। এসব অস্ত্র দায়িত্বরত নৈশপ্রহরীর কাছে জমা দেওয়া হয় এবং হল প্রাধ্যক্ষকে মুঠোফোনে বিষয়টি জানানো হয়।
শিক্ষার্থীরা জানান, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে কমিটি না থাকলেও ছাত্রলীগের একাধিক পক্ষ ক্যাম্পাসে সক্রিয় রয়েছে। আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এসব পক্ষ প্রায়ই সংঘাতে জড়াচ্ছে। এর মধ্যে একটি পক্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ের শের-ই-বাংলা হলের কয়েকটি কক্ষে দেশীয় অস্ত্র মজুত করে, যা ৩ জুন অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করেছে কর্তৃপক্ষ। চলতি বছরের পাঁচ মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তত তিনটি বড় ধরনের সংঘাতের ঘটনা ঘটে। ৩ জুন অস্ত্র উদ্ধারের পর আবারও সংঘাতের আশঙ্কা দেখা দেয়। এর পর থেকে সাধারণ শিক্ষার্থী, বিশেষ করে আবাসিক শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছিল। এই আতঙ্কের মধ্যেই বঙ্গবন্ধু হল থেকে অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় ওই হলের শিক্ষার্থীরাও আতঙ্কে আছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মো. খোরশেদ আলম বলেন, ‘বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখতে হল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দিয়েছি। হলের সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়, এমন কাজে কেউ জড়িত থাকলে তাঁদের কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না। হলের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে কারা এসব অস্ত্র মজুত করেছেন, তা শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।’