সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচির ‘প্রত্যয়’ স্কিম প্রত্যাহারের দাবিতে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববন্ধনে অংশ নেওয়া নিয়ে কর্মকর্তাদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে চার জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন সংলগ্ন এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
এসোসিয়েশনের সঙ্গে যোগ দিতে চাইলে প্রথমে বাদানুবাদ ও পরে দুই গ্রুপ হাতাহাতি ও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এই সময়ে প্লাস্টিকের চেয়ার নিয়ে উভয় গ্রুপ হামলা ও পাল্টা হামলা চালালে আহত হয় কয়েকজন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাদের একটি সূত্র জানায়, অফিসার এসোসিয়েশনে সাবেক মেয়রপন্থীদের সংখ্যাধিক্য হলে বর্তমান মেয়র অনুসারীরা আরেকটি অফিসার এসোসিয়েশন গড়ে তুললে দুই গ্রুপের মধ্যে রেষারেষি শুরু হয়।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. বাতেন চৌধুরী জানান, ‘যারা সরাসরি অফিসার ও যারা পদোন্নতি নিয়ে অফিসার হয়েছে তাদের মধ্যে মানববন্ধনে অংশ নেওয়া নিয়ে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ডিরেক্ট অফিসার এসোসিয়েশনের বেশ কিছু সদস্য আহত হয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব বিভাগের কর্মকর্তা এস এম ইকবাল বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণভাবে পেনশন স্কিমের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ শুরু করেছিলাম। এসময় হামলার ঘটনা ঘটে। আমাদের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে উপপরিচালক আবুল হোসেনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসার এসোসিয়েশনের সভাপতি বাহাউদ্দিন গোলাপ বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছি অফিসার এসোসিয়েশনের ব্যানারে। হঠাৎ করে আজকে ডিরেক্ট অফিসার এসোসিয়েশনের নামে ব্যানার নিয়ে আমাদের সামনে এলে স্বভাবতই আন্দোলনকারীরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে অফিসারদের একমাত্র স্বীকৃত সংগঠন আমরা। এসময় আমাদের ওপর প্রথমে হামলা হয়, পরবর্তীতে পাল্টা হামলা হয়। এই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাক্তার তানজিম হোসেনসহ ৪ জনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আরও অন্তত ৫/৭ জন সামান্য আহত হয়েছেন।
সংঘর্ষের ঘটনা নিয়ে উপাচার্য ড. বদরুজামান ভূঁইয়াকে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ধরেননি।