ঘূর্ণিঝড় হামুনের প্রভাব কেটে যাওয়ায় বরিশাল থেকে সব ধরনের নৌযান চলাচল শুরুর ঘোষণা দিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ। বুধবার (২৫ অক্টোবর) সকাল ৮টা থেকে সব রুটে লঞ্চ চলাচল শুরু হয়েছে। নদী বন্দর কর্মকর্তা মো. আব্দুর রাজ্জাক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, বরিশাল থেকে সকাল ৮টা থেকে সব রুটে নৌযান চলাচল শুরু হয়েছে। সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় হামুন উপকূলের দিকে অগ্রসর হলে বিপদ কেটে যাওয়ায় অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার রুটে সব ধরনের নৌযান চলাচলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।এদিকে ঘূর্ণিঝড় হামুন বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করায় দেশের সব সমুদ্রবন্দরের বিপদ সংকেত নামিয়ে ফেলতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। আবহাওয়ার এক বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) রাত ১টায় উপকূল অতিক্রম করেছে এবং এটি দুর্বল হয়ে সাতকানিয়া ও চট্টগ্রামে স্থল গভীর নিম্নচাপ আকারে অবস্থান করছে। এটি স্থলভাগের অভ্যন্তরে আরও অগ্রসর হয়ে বৃষ্টি ঝরিয়ে ক্রমান্বয়ে দুর্বল হতে পারে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৫ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
সেই সঙ্গে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নিদের্শ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।