বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ মাহবুবার রহমান জন্ম ২ জুন ১৯৪৭ সাল। জন্মস্থান বরিশাল জেলার গৌরনদী থানার নাঠৈ গ্রামে। ব্রিটিশ ভারতের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে। পিতা :-সৈয়দ মতলুবর রহমান (মধুমিয়া)। যিনি একাত্তরে একজন কীর্তিমান মুক্তিযোদ্ধা সংগঠক ছিলেন ও দীর্ঘদিন গৌরনদী থানা আওয়ামিলীগ এর সভাপতি ছিলেন। ১৯৬৫ সালে গৌরনদী হাই স্কুল থেকে এস,এস,সি এবং জগন্নাথ কলেজ হতে বিজ্ঞান বিভাগে এইচ,এস,সিপাশ করেন। ১৯৬৭ সালে গৌরনদী কলেজ থেকে বি,কম পাশ করে সেন্টাল ‘ল’ কলেজ, ঢাকায় ১৯৭০ সনে এল,এল,বিতে ভর্তি হন। ১৯৭১ এর মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বশস্ত্র সংগ্রামে যোগদান করেন। ১৯৭২ সালে ‘ল’ পাশ করেন। তিনি মুজিব বাহিনীর থানা লিডার ছিলেন। বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশনে একাউন্টেন্ট হিসেবে চাকুরী শুরু করেন।
১৯৭২ সালে বি,সি,এস(মুক্তিযোদ্ধা) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন কিন্তু ক্যাডার সার্ভিসে যোগদান করেননি। পরে একাউন্টেন্টের চাকুরী থেকে ইস্তফা দিয়ে ১৯৮১ সালে ঢাকা বারের অধীনে আইন পেশার যোগদান করেন। ১৯৮৪ সালে হাই কোর্ট বিভাগ এনরোলড হন ও ২০০২ সালে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে তালিকাভুক্ত হয়ে এডভোকেট হন – রেকর্ড হিসেবে আইন পেশায় আত্যনিয়োগ করেন। এ্যাডভোকেট মাহবুব নব কার্গোর এমডি এস এম রহমান দিনু ও গৌরনদী আগৈলঝাড়া সমিতির সভাপতি সৈয়দ জিয়াউর রহমান নবু তাহার বড় ভাই। মৃত্যুকালে তার এক ছেলে রেখে গেছেন। আজ সকাল সাতটায় গেন্ডারিয়া নিজ বাসভবনে পার্থক্য জনিত কারণে ইন্তেকাল করেন ( ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন) করেন। গেন্ডারিয়া মসজিদে জানাজা ও সুপ্রিম কোর্টে জানাযার শেষে মাগরিব ভাত তার নিজ গ্রামের বাড়িতে দাফন সম্পন্ন করা হবে। ১৯৭১ সালে যুদ্ধবন্দী হয়ে যশোর সেনানিবাসে শিকার হন। অবশেষে মহান আল্লাহর অসীম করুণায় ৭ই ডিসেম্বর, ১৯৭১এ যশোর সেন্ট্রাল জেল হতে মুক্তি লাভ করেন। এদেশের মানুষের জীবনে স্বাধীনতার সুফল চিরকাল বেঁচে থাক বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ মাহাবুবার রহমানের এটাই একমাত্র স্বপ্ন এবং প্রত্যাশা।
মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং তাঁর পরিবারের সকলের এই দুঃখজনক ক্ষতি ও শোক সহ্য করার জন্য, সর্বশক্তিমান আল্লাহর কাছে দোয়া জানিয়েছেন প্রবাস থেকে ।
লায়ন দিদার সরদার
প্রকাশক সম্পাদক
সময়য়ের কণ্ঠধ্বনি অনলাইন পত্রিকা