বরিশাল বিভাগের ৯টি নদীর পানি বিভিন্ন সময়ে বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। শনিবার (৮ জুলাই) আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ নদীর পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি প্রবাহিত হচ্ছে। এতে নদী তীরবর্তী এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। প্লাবিত হয়েছে নিম্নাঞ্চলগুলো। ফলে অনেকেই পানিবন্দি হয়ে পরেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বরিশাল নগরীর রসুলপুর, পলাশপুরসহ বিভিন্ন নিম্ন এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে।
বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী তাজুল ইসলাম জানান, পূর্ণিমা ও উজানের পানির চাপে বেশকিছু নদীর পানি বেড়েছে। তবে দক্ষিণাঞ্চলে এখন পর্যন্ত বন্যার কোন প্রভাব নেই। নদ-নদীর যে পরিমাণ পানি বৃদ্ধি পেয়েছে তা মৌসুমের স্বাভাবিক পরিস্থিতি। এই অঞ্চলের নদীর গভীরতা ও প্রস্থ বড় হওয়ায় এর পানি ধারণক্ষমতা বেশি।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেয়া ওয়াটার লেভেলের তথ্য অনুযায়ী, সন্ধ্যা ৭টায় ঝালকাঠির বিষখালি নদীর পানি বিপৎসীমার ১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বেতাগী উপজেলার বিষখালি নদী ১১ সেন্টিমিটার, ভোলার দৌলতখানের সুরমা ও মেঘনার পানি ৩৩ সেন্টিমিটার ওপরে, তজুমদ্দিনের সুরমা ও মেঘনা নদীর পানি ৫৭ সেন্টিমিটার ওপরে, পাথরঘাটার বিষখালি নদী বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া পিরোজপুরের কচা নদী ৯ সেন্টিমিটার, পিরোজপুরের বলেশ্বর নদী ১৮ সেন্টিমিটার, হিজলার ধর্মগঞ্জ ৩ সেন্টিমিটার, ভোলা খেয়াঘাটের তেতুলিয়া নদী ৪ সেন্টিমিটার বেড়েছে।
এছাড়া বরিশালের কীর্তনখোলা, উজিরপুর স্বরূপকাঠি, গৌরনদী টরকি, বাবুগঞ্জ, ঝালকাঠির বিশখালী, কাইটপাড়া লোহালিয়া, মির্জাগঞ্জের পায়রা, পিরোজপুর স্বরূপকাঠি, আমতলীর বুড়িশ্বর নদীর পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি ও নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী তাজুল ইসলাম বলেন, বর্ষা মৌসুমে বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ মোট ১৯টি নদীর পানি প্রবাহ পর্যবেক্ষণ করা হয়। রিপোর্ট অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় বেশ কয়েকটি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এতে করে বিভাগের নিম্নাঞ্চলের অনেক এলাকা তলিয়ে গেলেও তা ভাটায় আবার পানি নেমে যাবে।