বরিশালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সংঘর্ষে নিহত আওয়ামী লীগ নেতা টুটুল চৌধুরীর (৬০) হারিয়ে যাওয়া লাইসেন্স করা পিস্তলটি থানায় জমা দেওয়া হয়েছে। গতকাল শনিবার রাতে বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানায় অস্ত্রটি জমা দেয় এক কিশোর ও তার মা।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় লোকজন ও নিহতের স্বজনেরা বলেন, ৪ আগস্ট দুপুরে নগরের করিম কুটির এলাকায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। একপর্যায়ে আওয়ামী লীগ নেতা টুটুলকে কুপিয়ে ও ইট দিয়ে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করা হয়। এ সময় তাঁর সঙ্গে থাকা লাইসেন্স করা পিস্তলটি খোয়া যায়। তাঁকে বেলা ২টার দিকে উদ্ধার করে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন।
হাসপাতালের চিকিৎসকেরা ওই দিন জানিয়েছিলেন, নিহত টুটুলের মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত আছে। রক্তক্ষরণ ও মাথায় আঘাতের কারণেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। নিহত টুটুল চৌধুরী বরিশাল মহানগরের ১২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ছিলেন।
পুলিশ জানায়, নগরের নবগ্রাম রোডের বাসিন্দা অভি খান (১৭) নামের এক কিশোর পিস্তলটি কুড়িয়ে পায়। শনিবার অভি তার মাকে নিয়ে সেনা ক্যাম্পে যায়। ক্যাম্পের কমান্ডার মেজর রাশেদ তাঁদের নিয়ে এসে পিস্তলটি থানায় জমা দেওয়ার ব্যবস্থা করেন।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান আজ রোববার দুপুরে বলেন, টুটুল চৌধুরী হত্যার ঘটনায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে তাঁর স্ত্রী বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। ওই মামলার আলামত হিসেবে অস্ত্রটি সংরক্ষণ করা হবে।