বরিশাল মহানগর ও জেলা বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে কমিটি গঠনে বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। দুই লাখ টাকায় ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পদ বিক্রি করা হচ্ছে বলে জানান পদবঞ্চিতরা।
তবে কমিটি বাণিজ্যের অভিযোগ অস্বীকার করে জেলা ও মহানগর বিএনপি নেতারা বলেন, ত্যাগীদেরই মূল্যায়ন করা হয়েছে। একটি কমিটিতে সবাইকে স্থান দেয়া সম্ভব নয়। আর পদ বাণিজ্যের অভিযোগ গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে বলেও জানান তারা।
বিক্ষুব্ধরা জানান, নেতাদের দাবির টাকা না দেয়ায় পদ দেয়া হয়নি তাদের। দুই লাখ টাকার বিনিময়ে কমিটি বাণিজ্যের অভিযোগও করেন তারা। হাবিব নামে এক বিএনপি নেতা বলেন, ‘আমরা টাকা দিতে পারিনি বলে আজ আমরা পদ পাইনি। যারা টাকা দিতে পেরেছেন, তারাই পদ পেয়েছেন। টাকা ছাড়া শ্রমের কোনো মূল্য নেই।’
সুমন নামে আরেক বিএনপি নেতা বলেন, ‘প্রতিটি পদ দুই লাখ টাকা করে বাণিজ্য হয়েছে। টাকা ছাড়া নেতারা কিছুই বোঝেন না।’ বরিশাল মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুক বলেন, এসব মিথ্যা কথা। টাকা দিয়ে বিএনপি কোনোদিন কাউকে মূল্যায়ন করেনি।
বরিশাল জেলা দক্ষিণ বিএনপির সদস্যসচিব আবুল কালাম শাহিন বলেন, ‘বিএনপি একটি বড় দল। সবাই পদ পাবে এমনটা নয়। তাই বলে দলের বিরুদ্ধে কথা বলাটা ঠিক নয়। সবাইকেই মূল্যায়ন করা হবে। তবে বড় দলে যোগ্য লোক বেশি থাকায় পদ পাওয়া না-পাওয়া নিয়ে ক্ষোভ থাকতেই পারে বলে দাবি বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের।’
পদ বাণিজ্যের অভিযোগ গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে বলেও জানান কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিন। এদিকে বরিশালে কাঙ্ক্ষিত পথ না পেয়ে বিক্ষোভ ও ঝাড়ু মিছিল করেছেন মহানগর বিএনপির বিভিন্ন ওয়ার্ডের পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা। একই চিত্রের দেখা মিলেছে জেলা বিএনপির আওতাধীন বিভিন্ন উপজেলা ও পৌরসভায়।
২০২১ সালের ৩ নভেম্বর বরিশাল মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলার কমিটি ভেঙে দেয়া হয়। এরপর ২০২২ সালের ২২ জানুয়ারি দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী তিন ইউনিটের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেন। এরপর ২০২৩ সালের মার্চে বিভিন্ন উপজেলা ও পৌরসভাগুলোতে কমিটি গঠন চলছে। সূত্র: সময় টিভি