বরিশালের বিভিন্ন উপজেলা ও শহরজুড়ে মঙ্গলবার রাতভর ছিল ডাকাত আতঙ্ক।বিভিন্ন মসজিদে মাইকিং করা হয়েছে, এবং দলে দলে বিভক্ত হয়ে এলাকাকাবাসী সবাইকে সতর্ক করছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। এতে করে বিভিন্ন উপজেলা ও শহরজুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।
মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত আড়াইটার দিতে এমন মাইকিং করা হয়।
জেলা প্রশাসন বলছে, পুলিশের টহল জোরদার থাকলেও আতঙ্ক সৃষ্টি করতে পরিকল্পিতভাবে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। বরিশালের কোথাও ডাকাতির কোনো ঘটনা ঘটেনি। স্থানীয় প্রশাসন বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে।
সিটি করপোরেশন সংলগ্ন উপজেলা বাবুগঞ্জের বাসিন্দা আল আমিন জানান, রাত ২টার দিকে বাবুগঞ্জের বিভিন্ন মসজিদে মাইকিং করা হচ্ছে ডাকাত এসেছে মর্মে। উপজেলার সবাই আতঙ্কিত হয়ে রাস্তায় বেরিয়ে এসেছে।
খোঁজ নিয়ে উজিরপুর, বানারীপাড়ার কিছু অংশ ও বরিশাল সদর উপজেলারও কিছু অংশে এমন মাইকিং করা হয়েছে বলে জানা পাওয়া গেছে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও অনেকে প্রচার চালিয়েছেন।
যদিও মাইকিং শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে বাড়তি তল্লাশি চৌকি বসায় পুলিশ। এছাড়া বিভিন্ন এলাকায়ও টহল জোরদার করা হয়েছে বলে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। তবে একযোগে পুরো নগরীতে মাইকিংয়ের বিষয়টি নিয়ে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেননি ওই কর্মকর্তারা।
বরিশালের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সোহেল মারুফ মেট্রোপলিটন পুলিশের বরাত দিয়ে জানিয়েছেন, মোড়ে মোড়ে পুলিশ টহল দিচ্ছে। কোথাও ডাকাতি হয়েছে পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের কাছে এমন স্পষ্ট তথ্য নেই। তবে এলাকায় এলাকায় মাইকিং হচ্ছে এটি সত্য।
তিনি বলেন, আমার ধারণা মাইকিংয়ের বিষয়টি পরিকল্পিত। এটি একটি গুজব। গুজবে আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য জেলা প্রশাসন থেকে আশ্বস্ত করা হচ্ছে।