মাংস বিক্রির জন্য আবারও মরা গরু জবাই করে ফেঁসে গেলেন মাংস বিক্রেতা সেন্টু হাওলাদার ও তার সহযোগিরা। রাতের আধাঁরে মরা গরু জবাই করে মাংস পাচারের সময় এলাকাবাসীর রোষানলে পরেন কসাই সেন্টু।
ঘটনাটি বরিশালের গৌরনদী উপজেলার সীমান্তবর্তী বাবুগঞ্জ উপজেলার আগরপুর বাজারের। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী পিকআপ চালক রাব্বি হোসেন জানান, বুধবার দিবাগত রাতে গৌরনদী উপজেলার নলচিড়া এলাকা থেকে তার পিকআপে করে একটি রোগাক্রান্ত এবং একটি সুস্থ গরু আগরপুর বাজারে নিয়ে যায় ওই বাজারের মাংস ব্যবসায়ী কসাই সেন্টু হাওলাদার ও তার সহযোগিরা।
পথিমধ্যে রোগাক্রান্ত গরুটি মারা যায়। পরবর্তীতে সুস্থ গরু বাজারে রেখে মৃত গরু আগরপুর গ্রামের সোহান ফকিরের বাড়িতে নিয়ে জবাই করা হয়।
স্থানীয় একাধিক বাসিন্দারা অভিযোগ করে বলেন, মৃত গরু জবাইয়ের ঘটনাটি চারদিকে ছড়িয়ে পরলে উত্তেজিত জনতা সোহান ফকিরের বাড়িতে অবস্থান নেয়।
এসময় কসাই সেন্টু ও তার সহযোগিরা কৌশলে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে মাংস ব্যবসায়ী সেন্টুর শ্বশুর আব্দুল মজিদ খান ঘটনাস্থলে এসে বিষয়টি ধামাচাঁপা দেয়ার চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হন।
এলাকাবাসি আরও বলেন, মরা গরু জবাইয়ের বিষয়টি প্রথমে আগরপুর তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশকে জানানো সত্বেও তারা বিষয়টি এড়িয়ে যান।
পরে রাত সাড়ে দশটার দিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবহিত করার পর তার নির্দেশে মাংস ব্যবসায়ী কালাম তালুকদারকে আটক করেন পুলিশ এবং মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ৭ দিনের কারাদন্ড দেয়া হয়।
আটককৃত কালাম আগরপুর গ্রামের মৃত সামসুল হকের ছেলে। তবে ঘটনার মূল হোতারা পলাতক রয়েছে। এরপূর্বেও একাধিকবার কসাই সেন্টু বিরুদ্ধে মরা গরু জবাই করে মাংস বিক্রির অভিযোগ রয়েছে।
আগরপুর তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ সনজিত চন্দ্র জানান, বিষয়টি জানার পরপরই অভিযান চালিয়ে মাংসসহ একজনকে আটক করা হয়েছে।
বাবুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাকিলা রহমান জানান, এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।