জ্বালানি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ও নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের সাংবিধানিক বিধান পুনরুদ্ধারসহ দলের অন্যান্য দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আগামীকাল বরিশালে বিভাগীয় সমাবেশ করবে বিএনপি। তবে শুক্রবার থেকে গণপরিবহন ধর্মঘট শুরু হওয়ায় আগেভাগেই সমাবেশস্থল বঙ্গবন্ধু উদ্যানে জড়ো হয়েছেন হাজার হাজার নেতা-কর্মী। বিএনপির এই সমাবেশে অংশ নিয়েছেন সাধারণ মানুষও।
ভোলা, চরফ্যাশন, মনপুরা, পটুয়াখালী, বরগুনা, কুয়াকাটাসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা এসব মানুষের অভিযোগ-সরকার শুধু পরিবহন ধর্মঘট দেয়নি, আওয়ামী লীগের লোকজন দিয়ে সমাবেশে আসা মানুষদেরকে পথে পথে বাঁধা দিয়েছে ও হামলা করছেন। এতে ভোলা জেলার কয়েক শতাধিক সাধারন মানুষ আহত হয়েছে।
এদিকে শুক্রবার সকাল থেকে কার্যত বিচ্ছিন্ন বরিশাল। বাস, লঞ্চ, স্পিডবোট, মাইক্রোবাস সবই বন্ধ। এতে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। বিভাগের বিভিন্ন জেলায় অসুস্থ রোগীরা উন্নত চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত রয়েছেন। তবে সকাল থেকে বিভিন্ন জেলা থেকে মানুষ পায়ে হেঁটে, ছোট ছোট নৌকা, বাইসাইকেলসহ বিভিন্ন বাহনে পথ ভেঙ্গে সমাবেশস্থলে আসেন। বেলা বাড়ারে সঙ্গে সঙ্গে ভরে যায় পুরো বঙ্গবন্ধু উদ্যান। মাঠের মধ্যে নেতা-কর্মীরা মিছিল-মিটিং করেন।
পুরো তীব্র রৌদে সামিয়ানা টানিয়ে তার নিচে অবস্থান করেন। দুপুরের পর মিছিলে মিছিলে জনতার ঢল নামে সমাবেশস্থলে। খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে মাঠের চারপাশ দিয়ে প্রবেশ করেন নেতা-কর্মীরা। ওদিকে এখনো চলছে মঞ্চ প্রস্তুতকরনের কাজ। রাত ১০টার মধ্যে মঞ্চের কাজ শেষ করার কথা রয়েছে বলে জানিয়েছেন দায়িত্বে থাকা নেতা-কর্মীরা।
তবে বিএনপি নেতাদের দাবি সমাবেশ বানচাল করতে গণপরিবহন ধর্মঘট দিয়েছে সরকার। তবে সরকারের কোন বাঁধায় কাজে আসছে না। মানুষ সমাবেশে ছুটে আসছে। ইতোমধ্যে সাধারণ মানুষের ঢল নামছে। সড়কপথে মোটরসাইকেল ও ইজিবাইক নিয়ে, কেউ হেঁটে, কেউ নৌকায় করে চিড়া, মুড়ি নিয়ে সামাবেশস্থলে পৌঁছেছেন। আরো আসবে।