বরিশাল সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান সুজন ফেসবুক লাইভে এসে আত্মহত্যা করবে বলে হুমকি দিয়েছেন। শুক্রবার রাত ১১টার দিকে নিজ ফেসবুক প্রোফাইল থেকে লাইভ করে এই কথা জানান তিনি।
লাইভে তিনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আত্মহত্যার কারণ পারিবারিক নয়, পারিবারিকভাবে আমি সুখি আছি এমন অবস্থায় পড়েছি নিজের তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকেও বলতে পারছি না কিছু।
আমার আত্মহত্যার কারণ রুটি রুজির জায়গা বন্ধ হয়ে যাওয়া। অর্থাৎ যে জায়গা থেকে আমার আয়ে সংসার চলত, সেই পথ শনিবার থেকে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। ওই জায়গা হারিয়ে ফেলব কাল (শনিবার)। তাই কোনো পথ না পেয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে হবে।
১১ মিনিটের ওই ফেসবুক লাইভে আসার দুই ঘণ্টা আগে সুজন নিজ টাইমলাইনে লিখেছেন- কাল হয়তো আত্মহত্যা করতে পারি? কারণটা ডায়েরিতে লেখা থাকবে…। হে আল্লাহ তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও…
এই পোস্টটি সুজন সাতজনের ফেসবুক আইডিতে ট্যাগ করেছেন। তারা হলেন- বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক নিরব হোসেন টুটুল, মহানগর ছাত্রলীগের আহ্বায়ক রইজ আহম্মেদ মান্না, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মাইনুল ইসলাম, মহানগর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ও জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হেমায়েত উদ্দিন সেরনিয়াবাত সুমন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ উল ইসলাম সুমন, সাগর মেম্বার ও মাহাতাব হোসেন সুমন।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, বরিশাল সদর উপজেলার চরকাউয়া বাসস্ট্যান্ডের একটি অংশ ও চরকাউয়া খেয়াঘাট নিয়ন্ত্রণ করতেন আশিকুর রহমান সুজন। ওই দুই স্থান নিয়ে হয়তো কোনো দ্বন্দ্বে নিয়ন্ত্রণ হারানোর আভাস পেয়ে সুজন আত্মহত্যার ঘোষণা দিয়েছেন।
আত্মহত্যার ঘোষণার পর আশিকুর রহমান সুজনকে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি।
বরিশাল মহানগর পুলিশের বন্দর থানার ওসি মো. আসাদুজ্জামান বলেন, লাইভটি আমি দেখেছি এবং এরপর আশিকুর রহমান সুজনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করতে পারিনি।