আজ ২৪ জুন শনিবার দুপুরে বর্ণিল আয়োজনে প্রায় ৩শ অতিথির উপস্থিতিতে মহা ধুমধামে অনুষ্ঠিত হলো বরিশাল সামাজিকপ্রতিবন্দী মেয়েদের প্রশিক্ষণ ও পূর্ণবাসন কেন্দ্রের দুই তরুনীর বিয়ে।
বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন এতে উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয়কমিশনার বরিশাল মোঃ আমিন উল আহসান, জেলা প্রশাসক বরিশাল মোঃ জাহাঙ্গীর হোসন, সমাজসেবা অধিদপ্তরেরবরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ–পরিচালক আল মামুন তালুকদার, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ–পরিচালক একেএমআক্তারুজ্জামান তালুকদার, প্রবেশন অফিসার জেলা প্রশাসকের কার্যালয় বরিশাল সাজ্জাদ পারভেজসহ সামাজিক, সাংস্কৃতিকও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিবৃন্দরা। মা–বাবা কে বাড়ি কোথায় তা আজও জানে না রহিমা। মা–বাবাকে খুঁজেছে, কিন্তু পায়নি। ৮বছর আগে পিরোজপুর থেকে পাঠানো হয়েছিল বরিশাল সামাজিক প্রতিবন্দী মেয়েদের ও প্রশিক্ষণ ও পূর্ণবাসন কেন্দ্রে। তামান্নারবাড়ি মেহেন্দিগঞ্জে।
পারিবারিক অস্বচ্ছলতার কারণে ঘর ছেড়ে বেছে নিয়েছিল অন্ধকারের পথ সেখান থেকে ৪ বছর আগেবরিশাল নগরী থেকে পুলিশ উদ্ধার করে এই কেন্দ্রে পাঠিয়েছিল। এরপর সমাজসেবা অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধায়নে থেকে সামাজিকআচার আর ধর্মিয় নীতি শিক্ষার মধ্য দিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছে। অন্ধকার থেকে আলোয় ফেরা এই দুই কিশোরীকেপাত্রস্থ করা হলো মহা ধুমধামে।
তামান্নার সাথে বিয়ে হচ্ছে বাবুগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা দোকানী ফরিদ হোসেনের। আর রহিমারসাথে বিয়ে হচ্ছে বরিশাল সিটি করপোরেশন এলাকার জাগুয়ার বাসিন্দা দিনমজুর রাসেলের। পরবর্তী জীবন যেন তারাসামলম্বলী হতে পারে এজন্য উভয় দম্পতিকে নগদ ৫০ হাজার করে টাকা, সেলাই মেশিন, ঘরের সকল তৈজসপত্র উপহার দেওয়াহয়।
শাহজাদা হিরা