স্বামীর পরকীয়া প্রেমের বাঁধা দেওয়া ও যৌতুকের দাবিতে দুই পুত্র সন্তানের জননী রিবিকা বালাকে (৩৫) হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
থানা পুলিশ মঙ্গলবার (৯ জুলাই) বেলা বারোটার দিকে নিহতের লাশ উদ্ধার করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলার রাহুতপাড়া গ্রামে।
মৃত রিবিকা বালার বড় ভাই পাশ্ববর্তী ডাসার থানার নবগ্রাম এলাকার উপেন্দ্র নাথ বাড়ৈর ছেলে সুবির বাড়ৈ অভিযোগ করেন, তার বোনজামাতা আগৈলঝাড়ার রাহুতপাড়া গ্রামের গৌরাঙ্গ বালার ছেলে সঞ্জিত বালা দীর্ঘদিন থেকে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পরে। এনিয়ে তাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দাম্পত্য কলহ চলে আসছিলো।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, পরকীয়ার পাশাপাশি যৌতুকের দাবিতে সঞ্জিত বালা প্রায়ই তার বোনকে শারিরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছিলো।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে সুবির বাড়ৈ জানান, সোমবার দিবাগত রাতে তার বোনের সাথে সঞ্জিতের তুমুল বাগবিতন্ডা হয়।
তাদের ধারনা বাগবিতন্ডার একপর্যায়ে সঞ্জিতের শারিরিক নির্যাতনে তার বোন রিবিকা মারা গেছে। পরবর্তীতে সঞ্জিত তার পরিবারের সদস্যদের সহায়তায় লাশ বাড়ির পাশ্ববর্তী বাগানের একটি গাছের সাথে ঝুলিয়ে রেখে এলাকায় আত্মহত্যার কথা রটিয়ে দিয়েছে।
ঘটনার পর থেকেই সঞ্জিত বালা আত্মগোপন করেছেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
অভিযুক্ত সঞ্জিত বালা আত্মগোপনে থাকায় তার কোন বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
আগৈলঝাড়া থানার ওসি মো. আলম চাঁদ বলেন, স্থানীয়দের কাছে খবর পেয়ে আজ মঙ্গলবার বেলা বারোটার দিকে রিবিকা বালার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
ওইদিন দুপুরে থানায় ইউডি মামলা দায়েরের পর লাশের ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে জানিয়ে ওসি আরও বলেন, এ ঘটনায় মৃতের বাবার পরিবার থেকে এখনও থানায় লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। লিখিত অভিযোগ ও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।