বরিশালে পরকিয়া দেখে ফেলায় ইমামকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। জানা যায়, বরিশাল সদর উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের বিল্লবাড়ি গ্রামের এক গৃহবধূর সাথে দীর্ঘদিন ধরে পরকিয়ার সম্পর্ক চলছে স্থানীয় খালেক গাজীর ছেলে সেন্টু গাজীর সাথে। ওই গৃহবধূর সাথে পরকিয়ার বিষয়টি দেখে ফেলায় গত বুধবার সকাল আনুমানিক ১০টায় প্যাদা বাড়ি জামে মসজিদের ইমাম বশির উদ্দিনকে বেধরক মারধর করেন সেন্টু গাজী।
মসজিদ সংলগ্ন ইমামের কক্ষে ডুকে এ হামলা চালানো হয়। ইমামের ডাক-চিৎকার শুনে স্থানীয়রা এসে তাকে উদ্ধার করে। আহত ইমাম বশির উদ্দিনকে হত্যার হুমকিও প্রদান করেন সেন্টু। পরে নিজেকে রক্ষায় ওই ইমাম নিজ এলাকায় চলে যায় এবং প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণ করেন।
স্থানীয় বাবুল শেখ অভিযোগ করে বলেন, ‘মসজিদের ইমাম একজন সম্মানিত ব্যক্তি, তিনি যতই অন্যায় করুক না কেন তার উপর হাত তোলা মেনে নেওয়ার মতো না। আমরা এর উপযুক্ত বিচার চাই।’
মসজিদ কমিটির সহকারী সেক্রেটারি রাদেশ মোল্লা বলেন, ‘যে ইমাম সাহেবের উপর হামলা করেছেন তিনি এলাকায় পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী মহোদয়ের নাম ভাঙ্গিয়ে সব সময় মানুষকে জিম্মি করে নানা অপকর্ম করে থাকেন। তার ভাই একজন বড় নেতা সেই ক্ষমতা দেখায় সবাইকে। এবারও তিনি ইমামকে মারধরের পরে বীরদর্শে সকলকে সাসিয়ে গেছেন যে ইমামের পক্ষ যে নিবে তাকে বরিশাল শহরের বসে উচিত শিক্ষা দেওয়া হবে। কিন্তু জঘন্য এই উপযুক্ত বিচার চাই আমরা।’
অন্যদিকে এ ঘটনা ধামাচাপা দিতে একটি মহল চক্রান্ত করছেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। মসজিদ কমিটির ক্যাশিয়ার সাব্বিরের সামনে পুরো ঘটনা ঘটলেও গণমাধ্যমকর্মীরা তার কাছে প্রকৃত ঘটনা জানতে চাইলে তিনি ব্যস্ততা দেখিয়ে ঘটনাস্থল থেকে সটকে পড়েন।
অন্যদিকে স্থানীয় ইউপি সদস্য মাসুম হাওলাদার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ইমাম সাহেব একজন সম্মানিত ব্যক্তি, তার উপর হামলার বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। গত শুক্রবার বিষয়টি নিয়ে মসজিদে বসার কথা থাকলেও অভিযুক্ত সেন্টু উপস্থিত হয়নি। পরে আমি আমাদের চেয়ারম্যানকে বিষয়টি অবগত করি, সে আমাকে জানিয়েছেন স্থানীয়দের সাথে নিয়ে এ ঘটনার একটি উপযুক্ত বিচার করা হবে।