প্রজনন মৌসুমে ইলিশ আহরণ, বিক্রি এবং পরিবহনে মৎস্য বিভাগের নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে দক্ষিণাঞ্চলের নদ-নদীতে অভিযান চলছে। অভিযানের গত সাত দিনে বরিশাল বিভাগের ছয় জেলায় ২৪১টি মামলায় ২১৯ লেজেকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় জরিমানা করা হয়েছে দুই লাখ ২১ হাজার একশ টাকা। পাশাপাশি জব্দকৃত মালামাল নিলামে বিক্রি করে আদায় হয়েছে আরও ৪৪ হাজার একশ টাকা।মৎস্য অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. নাসির উদ্দিন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানিয়েছেন, সবশেষ গত ২৪ ঘণ্টায় মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ৪৮ জেলেকে কারাদণ্ড ও ৫৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।মৎস্য বিভাগের এই কর্মকর্তা জানান, ইলিশের প্রজনন নির্বিঘ্ন করে ইলিশ সম্পদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে গত ১১ অক্টোবর মধ্যরাত থেকে দেশের উপকূলের সাত হাজার বর্গ কিলোমিটারের মূল প্রজনন কেন্দ্র ও সারাদেশে ইলিশ আহরণ, পরিবহন এবং বিপণন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করেছে মৎস্য বিভাগ। আগামী ২ নভেম্বর মধ্যরাত পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা থাকবে।
তিনি বলেন, নিষেধাজ্ঞার মধ্যে জেলেরা যাতে ইলিশ শিকারে না যায় সেজন্য বরিশাল বিভাগের তালিকাভুক্ত তিন লাখ সাত হাজার ৮৪১ লেকে চাল দেওয়া হচ্ছে। তারা প্রত্যেকে ২৫ কেজি করে চাল পাচ্ছে। এরই মধ্যে অধিকাংশ জেলের কাছে চাল পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। বাকিদের মধ্যে চাল বিতরণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
তিনি বলেন, সরকারি নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে মৎস্য বিভাগের নেতৃত্বে জেলা, উপজেলা প্রশাসন, নৌ-বাহিনী, কোস্টগার্ড, পুলিশ, র্যাবসহ সব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।
অভিযানের গত সাত দিনে বরিশাল বিভাগের নদ-নদী এবং বিভিন্ন বাজারে মোট ৭৮৬টি অভিযান পরিচালিত হয়েছে। এর পাশাপাশি মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়েছে ২৯৫টি। এ সময় জব্দ করা হয় দুই হাজার ৫৬৪ কেজি ইলিশ এবং দুই কোটি দুই লাখ ৪২ হাজার পাঁচশত টাকা মূল্যের ৯ লাখ ২২ হাজার ৮০০ মিটার অবৈধ জাল জব্দ করা হয়। জব্দকৃত ইলিশ বিতরণ করা হয়েছে বিভিন্ন এতিমখান, মাদ্রাসার লিল্লাহ বোডিং এবং দুস্থদের মধ্যে।