বরিশাল নগরীর ডিসি ঘাট সংলগ্ন ভাটার খালের ব্রিজটি দীর্ঘ বছর ধরে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে। সংস্কারের অভাবে এখন মরণ ফাঁদে পরিনত হয়েছে ব্রিজটি। যে কোন মুহূর্তে এখানে ঘটতে পারে বড় দুর্ঘটনা। স্থানীয় বাসিন্দাদের দুর্ভোগ চরমে। ব্রিজের সংস্কারে বিষয়টি আমলে নিচ্ছে না সিটি কর্পোরেশন। সিটি কর্পোরেশনের দাবী ওই ব্রিজটি বিআইডব্লিউটিএর এলাকায়। বিআইডব্লিউটিএ বলছে, ওই জায়গা তাদের কিন্তু ব্রিজ তাদের নির্মিত নয়। দুই সংস্থার ঠেলাঠেলিতে সংস্কার হচ্ছে না ব্রিজটির। আর চরম ভোগান্তিতে পরতে হচ্ছে জনসাধারণকে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ব্রিজটি নগরীর ১০নং ওয়ার্ডস্থ ডিসি ঘাট সংলগ্ন ভাটার খালের উপর নির্মিত। বর্তমান অবস্থা খুবই ঝুঁকিপূর্ন। স্থানীয়রা কাঠের তক্তা জোড়া তালি দিয়ে চলাচল করছে। লোহার এঙ্গেলের উপর পাটা দিয়ে দিয়ে নির্মিত ব্রিজটি। পরে পাটা ভেঙে যাওয়ায় কাঠের তক্তা দিয়ে সংস্কার করে স্থানীয়রা।
স্থানীয় বাসিন্দারা কাউন্সিলর এর কাছে অভিযোগ দিয়েও কোনো প্রতিকার পায়নি। কারণ এটি বিআইডব্লিউটিএর জায়গা। আর বিআইডব্লিটিএ কর্তৃপক্ষ বলছেন, ঐ এলাকা নদী তীরবর্তী এলাকা বিআইডব্লিউটিএর হলেও ওখানকার পুল ও বাড়িঘর বা বস্তি এলাকা সিটি করপোরেশনের।
চায়ের দোকানী আলেয়া বেগম বলেন, প্রায়ই এ ব্রিজটিতে দুর্ঘটনা ঘটে। পার্কে আসা দর্শনার্থীরা বেশি দুঘটনার শিকার হচ্ছে। কারণ তারা জানে এব্রিজটি খুবই ঝুঁিকপূর্ন। আমার প্রতিবেশী এক যুবক ভেঙে খালে পরে যায়। তার হাত-পায়ে গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হন। মুক্তিযোদ্ধা পার্কে আসা এক দর্শনার্থী বলেন, আমি প্রায়ই এখানে ঘুরতে আসি। ব্রিজটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় চলাচলে কষ্ট হচ্ছে।
১০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শহীদুল্লাহ্ কবীর জানান, পোলটি আমার ১০ নং ওয়ার্ডেরই। পোলটির অবস্থা খুবই খারাপ আমি নিজে দেখে এসেছি। এজন্য সিটি করপোরেশনকে লিখিত আবেদন করেছি। বিষয়টি সম্পর্কে বরিশাল সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাস বলেন, ওই ব্রিজটি ১০নং ওয়ার্ডে হলেও এটা বিআইডব্লিউটিএর জায়গায় নির্মিত। তাই ব্রিজটি সংস্কার হচ্ছে না। তারপরেও বিষয়টি মেয়র মহোদয়কে জানানো হবে।
এ ব্যাপারে বরিশাল নদী বন্দর কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ব্রিজটি আমাদের নির্মিত নয়। জায়গাটা হয়তো আমাদের কিন্তু নির্মাণ করেছে অন্য কোন সংস্থা। আর তাদেরকে উচিত ব্রিজটি সংস্কার করা।