দিনভর বৃষ্টি উপেক্ষা করে মঙ্গলবার (২৭ জুন) বরিশালের হাটগুলোতে হাঁটুপানিতেই জমজমাট ছিল কোরবানীর পশুর হাটগুলো। শেষ মুহূর্তে বিক্রেতা ও ক্রেতা কোনো পক্ষই ঝুঁকি নিতে নারাজ। তাই ক্রেতারা দ্রুত সময়ের মধ্যেই বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে পছন্দের গরু-ছাগল কিনেছেন।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত বরিশাল নগরসংলগ্ন কাগাশুরা, রূপাতলী, চরমোনাই, বানারীপাড়ার গুয়াচিত্রাসহ কয়েকটি হাটে বিপুল সংখ্যক কোরবানীর পশু ও ক্রেতা সমাগম দেখা গেছে। খাবার, পরিবহন খরচসহ অন্যান্য ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় কোরবানির পশুর দাম বেড়েছে বলে জানান বিক্রেতারা। ফলে সাধ আর সাধ্যের মধ্যেই অনেকেই পছন্দের গরুটি কিনতে হিমশিম খেয়েছেন। তবে প্রচুর গরু বিক্রি হতে দেখা গেছে এসব হাটগুলোতে।
বরিশাল জেলায় এবারে মোট ৬৩টি কোরবানির পশুর হাট বসেছে। এ ছাড়া খামারিদের কাছেও প্রস্তুত রয়েছে ১ লাখ ১০ হাজার গরু। কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর থেকেও গরু আসছে এসব হাটে। বরিশাল নগরীতে স্থায়ী-অস্থায়ী মিলে ৩টি হাট রয়েছে এর মধ্যে নগরীর বাঘিয়া ঝাউতলা হাটে গরু উঠেছে। এই হাটে কুষ্টিয়া ও চুয়াডাঙ্গা থেকে বেশি গরু এসেছে। সোমবার দুপুর পর্যন্ত এই হাটে ৪০টি গরু বিক্রি করেছে বলে জানিয়েছে ইজারাদার। তবে আজ থেকে ঈদুল আযহার আগের রাত পর্যন্ত পর্যন্ত চলবে এই হাটে পশুর সংখ্যা বাড়বে।
একই অবস্থা বরিশালের মোট ৬৩টি কোরবানির পশুর হাটের অধিকাংশের। চরমোনাই হাটে কথা হয় ক্রেতা ইমরান চৌধুরীর সাথে। তিনি জানান, হাটে অনেক গরু, তবে ভালো জাতের গরুর দাম অনেক বেশি। পশু কিনতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
এদিকে পণ্যের দাম ও গরু পালনে খরচ বেড়েছে বলে জানায় ব্যাবসায়ি রিপন হোসেন। তিনি বলেন, গো-খাদ্যের দাম অনেক বেড়েছে। গরু লালন-পালনে খরচ বেশি হচ্ছে। পরিবহন ব্যয় অস্বাভাবিক বেড়েছে। ন্যায্য দাম না পেলে আমাদের লোকসান হবে। তবে গরুর দাম একটু বেশি হওয়ায় গত বছরের তুলনায় বিক্রি কম। ৫টি গরু নিয়ে এসেছি, এখন পর্যন্ত ২টি গরু বিক্রি করেছি।
এ ছাড়াও ইজারাদারদের নিজস্ব বিদ্যুৎ ব্যবস্থা, স্বেচ্ছাসেবক ও নৈশ প্রহরী রাখাসহ পশুর হাটে অবশ্যই সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করে নিরাপত্তা বাড়ানোর বিষয়ে বলা হয়েছে।
অপরদিকে কোরবানির বর্জ্য অপসারণে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় থেকে প্রত্যেক হাটের সামনে মাইকিং, লিফলেট বিতরণ করতে দেখা গেছে।