এসএসসি পরীক্ষার প্রথম দিন ত্রিশ মিনিট দেরিতে কেন্দ্রে পৌঁছানোয় ফলাফল খারাপ হওয়ার শঙ্কায় আত্মহত্যা করেছে মুন্নি আক্তার নামে এক ছাত্রী। রোববার (২১ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টায় বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার দেহেরগতি ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের নিজ বাড়ি থেকে ওই ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করা হয়।
মুন্নি আক্তার উপজেলার ঈশ্বর নারায়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে মানবিক বিভাগে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছিল। সে খলিল হাওলাদার ও লেবানন প্রবাসী মনোয়ারা বেগম দম্পতির সন্তান।
মুন্নির মামা মামুন বলেন, মুন্নির যখন তিন বছর বয়স তখন তার মা মনোয়ারা বেগম ও বাবা খলিলুর রহমানের বিচ্ছেদ হয়ে যায়। এরপর থেকে মুন্নি আমাদের বাড়িতে (নানা বাড়ি) থাকত। কয়েক বছর আগে ওর মা লেবানন চলে যায়। আমরাই দেখাশুনা করতাম মুন্নির। শনিবার (২০ নভেম্বর) রাতের খাবার খেয়ে সাড়ে ১০টার দিকে মুন্নি নিজের রুমে ঘুমাতে যায়।
ভোর সাড়ে ৫টায় নানা ইঙ্গুল আলী খান নামাজ পড়তে উঠে দেখেন মুন্নি বিছানায় নেই। পরে বাইরে খোঁজ করেন। কিছুক্ষণ পর বাড়ি থেকে একশ গজ দূরে একটি আম গাছের ডালের সঙ্গে মুন্নিকে ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলতে দেখে চিৎকার করেন। এ সময় আমরাসহ বাড়ির সবাই ছুটে এসে মুন্নিকে গাছের ডাল থেকে উদ্ধার করে নিচে নামাই। ততক্ষণে মারা গেছে মুন্নি। পরে পুলিশ এসে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
বিষয়টি নিশ্চত করে বাবুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে প্রথম পরীক্ষা খারাপ হওয়ায় সে আত্মহত্যা করেছে। তবে এর বাইরে কোনো ঘটনা আছে কি না তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে নিশ্চিত হওয়া যাবে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।