ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল ও প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামানের মুক্তির দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন। বরিশাল নগরের ফকিরবাড়ি রোডস্থ কার্যালয়ে শনিবার (০১ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন বরিশাল জেলা কমিটির আয়োজনে ‘বর্তমান সময়ে ছাত্রদের করণীয়’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এ দাবি জাননো হয়।
বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন বরিশাল জেলা কমিটির সভাপতি জাবের মোহাম্মদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাকিবুল ইসলাম সাফিনের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি মশিউর রহমান খান রিচার্ড, গণসংহতি আন্দোলন বরিশাল জেলা কমিটি আহ্বায়ক দেওয়ান আবদুর রশিদ নীলু, সদস্য সচিব আরিফুর রহমান মিরাজ, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক জামান কবির, সদস্য সচিব সানজিলা খাতুন সহ বরিশালের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মশিউর রহমান খান রিচার্ড বলেন, বাজারে ঊর্ধগতির ফলে জনমনে চরম নাভিশ্বাস চলছে। বিশ্ববিদ্যালয় হল ও মেসগুলোতে খাবারের দাম বাড়ায় শিক্ষার্থীরা পর্যাপ্ত পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার খেতে পারছে না। বিশ্ববিদ্যালয় হলগুলোয় খাবারের দাম বেড়েছে। দেশের শ্রমজীবী ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষও নিত্যপ্রোজনীয় দ্রব্যর দাম বাড়াতে চরম সংকটে পড়েছে। স্বাভাবিকভাবেই খাদ্য দ্রব্যর দাম বাড়াতে জনপরিসরে এটিই প্রধান আলোচ্য বিষয়ে পরিণত হয়েছে। গণমাধ্যমেও সেই আলোচনা এসেছে। খাবারের দাম বাড়ার প্রেক্ষিতে স্বাধীনতা দিবসে প্রথম আলো ‘মাছ-মাংস ও চাইলের স্বাধীনতা লাগবে’ শীর্ষক শিরোনামে যে সংবাদ প্রকাশ করে তাতে রাষ্ট্রের আপত্তির কথা বলে প্রথম আলোর প্রতিনিধি শামসুজ্জামানকে রাতের আঁধারে তুলে নিয়ে পরের দিন
গ্রেফতার দেখানো হয়। আমরা এই গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান ও সাংবাদিক শামসুজ্জামানের বিরুদ্ধে হয়রানিমুলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, সাংবাদিক শামসুজ্জামানের নিঃশর্ত মুক্তিসহ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি জানাই।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকার তার অবৈধ শাসন টিকিয়ে রাখতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে গদি রক্ষার আইনে পরিনত করেছে। বর্তমান সরকার আরও কঠোরভাবে গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করতে চায়। প্রথম আলো সম্পাদক ও সাংবাদিক শামসুজ্জামানের বিরুদ্ধে মামলা সেই প্রক্রিয়ারই অংশ।
সভাপতির বক্তব্যে জাবের মোহাম্মদ বলেন, বর্তমানের এই শ্বাসরুদ্ধকর তমশাচ্ছ্ন্ন পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য ছাত্র সমাজের ভূমিকা অনিবার্য। আমাদের শহীদ আাসাদের আত্মত্যাগে উজ্জীবিত হয়ে শিক্ষা, কাজ ও ভোটাধিকারের দাবিতে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ফ্যাসিবাদের কবল থেকে দেশকে উত্তরণ করে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচারের দেশ গঠনই বর্তমান ছাত্র সমাজের অভীষ্ট লক্ষ্য হওয়া উচিত।