অমাবশ্যার জোর প্রভাবে পায়রা নদীতে স্বাভারিক জোয়ারের চেয়ে পানি বৃদ্ধি ও বৃষ্টির পানিতে মাঠে থই থই করছে। এতে আমনের বীজতলা পানিতে তলিয়ে পঁচে গেছে। জলকপাট বন্ধ থাকায় জলাবন্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে বিপাকে পরেছে কৃষকরা।
জানা গেছে, আমতলীতে এ বছর আমন চাষাবাদের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে ২৩ হাজার ৫০০ হেক্টর জমি। ওই জমিতে বীজ বপন করতে কৃষকরা বীজতলা তৈরি করেছে। কিন্তু অমাবশ্যার জোর ও বৃষ্টিতে মাঠে পানি থই থই করছে। ফলে আমনের বীজতলা পানিতে তলিয়ে পঁচে গেছে। এতে বিপাকে পরেছে কৃষকরা। তাদের আবার নতুন করে বীজতলা তৈরি করতে হবে।
কৃষকরা জানান, অধিকাংশ বীজতলা পঁচে গেছে। নতুন বীজতলা তৈরি না করে উপায় নেই। কিছু বীজ পানির ওপরে ভাসছে। ওই বীজের ওপর ভরসা করা যায় না। কিছু কৃষক উঁচু জমির বীজতলা রক্ষায় সেচ দিচ্ছেন কিন্তু কাজে আসছে না। দিনে সেচ দিলেও রাতে ওই বীজতলায় পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। এদিকে জলকপাটগুলো বন্ধ থাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে । দ্রুত জলকপাটগুলো খুলে দেয়ার দাবি জানিয়েছেন কৃষকরা।
কৃষক মো. মোস্তফা বলেন, ঘটখালী স্লুইজের কপাট বন্ধ থাকায় পানি নামছে না। ফলে তীব্র জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। পানি না নামায় বীজ পঁচে যাচ্ছে।
কৃষক হক মৃধা বলেন, আমনের বীজতলা পানিতে তলিয়ে অধিকাংশ পঁচে গেছে। পুনরায় বীজতলা তৈরি করা ছাড়া জমি রোপণ করতে পারব না।
পশ্চিম সোনাখালী গ্রামের সোহেল রানা বলেন, জোয়ার ও বৃষ্টির পানিতে মাঠ তলিয়ে বীজতলা পঁচে গেছে। আমতলী উপজেলা কৃষি অফিসার ঈশা বলেন, জোয়ার ও বৃষ্টির পানিতে আমনের কিছু বীজতলা তলিয়ে গেছে। পানি কমে গেলে আশা করি কৃষকদের তেমন সমস্যা হবে না।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, খোঁজ খবর নিয়ে দ্রুত জল কপাট খুলে দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে।