গোলাম কিবরিয়া বরগুনা :
বরগুনার আমতলীতে তরমুজ পরিবহনের ট্রাক থেকে হাটের ইজারাদার পরিচয়ে খাঁজনার নামে চাঁদা আদায় করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাঁরা হাটবাজারের রসিদ ব্যবহার করে ট্রাকপ্রতি ৫শ থেকে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত টাকা আদায় করছেন বলে অভিযোগ করেন ট্রাকচালক ও ব্যবসায়ীরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আমতলী উপজেলার, আঠারোগাছিয়া, কুকুয়া, হলদিয়া ও চাওড়া ইউনিয়নে ব্যাপক তরমুজ চাষ হয়। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ব্যবসায়ীরা এসে তরমুজ কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। ওই তরমুজ দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে বিক্রি করেন ব্যবসায়ীরা।
তরমুজ পরিবহনে প্রতিদিন আমতলীর গাজীপুর, কুকুয়া, মহিষকাটা, সুবন্ধীর বাঁধ, তালুকদার বাজার ও বিশ্বাসের হাটে অবস্থান করা ট্রাকগুলো থেকে খাজনার নামে টাকা তোলা হয়। তবে কিছু অসাধু ব্যাক্তিরা হাটবাজারের রসিদ ব্যবহার করে ওই সব ট্রাক থেকে প্রতিদিন চাঁদা আদায় করে আসছে। তাঁদের দাবি করা চাঁদা না দিলে ট্রাক গন্তব্যে যেতে দেয়া হয়না এমন অভিযোগ করেন মাহফুজ নামের এক ট্রাকচালক।
হলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ ইজারাদার পরিচয়েদানকারী মো. আলমগীর হোসেন বলেন, চাাঁদা নয় ট্রাকপ্রতি ৫০০ টাকা করে খাজনা আদায় করছি ছুবান্দি বাজার থেকে।
গাজীপুর বাজারে ওহাব হাওলাদার খাজনার কথা বলেন, ট্রাকপ্রতি এক হাজার থেকে দেড় হাজার টাকা আদায় করছেন। কিন্তু ওহাব হাওলাদার অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন।
ট্রাকচালক ও তরমুজ ব্যবসায়ীরা আরও অভিযোগ করেন, দফাদারের হাট ও কালিগঞ্জ বাজার শাহজাদা তালুকদার, হলদিয়া হাট সবুজ মালাকার, বিশ্বাসের হাটে মাসুদ মিয়া হলদিয়া অফিস বাজারের পশ্চিমপার মাসুম মোল্লা, কুকুযা বাজার আইয়ুব মিযা প্রতিদিন তরমুজের ট্রাক থেকে খাঁজনার নামে চাঁদা আদায় করছেন বলে অভিযোগ রযেছে।
বগুড়ার ট্রাক চালক জয়নাল বলেন, ট্রাকে তরমুজ লোড দিয়ে মহাসড়কে আনতে চার থেকে পাঁচ স্থানে ধাপে ধাপে টাকা দিতে হয়।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত ওসি) রনজিৎ সরকার বলেন, বিষয়টি আমি জানি না,তবে খোজ নিয়ে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে আমতলীর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মাদ আশ্রাফুল আলম বলেন, এ ভাবে টাকা নেওয়ার কথা নয়, যদি কেউ করে থাকেন তাহলে তাঁদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।