বরিশালের গৌরনদীতে দোনলা বন্দুকের একাংশ ও তৈরিকৃত বাটসহ কাঠমিস্ত্রি নুরুল হক মোল্লা (৪২) গ্রেফতার হলেও মূল হোতা ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হুমায়ন খলিফা ও তার সহযোগি লিটন মোল্লাকে এখনও পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি। উদ্ধার করতে পারেনি দোনলা বন্দুকের বাকি অংশ। এ ঘটনায় গৌরনদীর শরিকল পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক শাহিন সরকার বাদী হয়ে থানায় অস্ত্র আইনে মামলা দায়েরের পর অভিযুক্তরা আত্মগোপন করেছে।
মামলার আসামিরা হলো ওই উপজেলার দক্ষিণ সাকোকাঠি গ্রামের সিরাজ খালিফার ছেলে ও শরিকল ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হুমায়ন খলিফা (৪০), তার সহযোগি উজিরপুর উপজেলার ঘন্টেশ্বর গ্রামের মৃত জবেদ মোল্লার ছেলে লিটন মোল্লা (৩৮) ও উত্তর সাকোকাঠি গ্রামের মৃত মতিউর রহমান মোল্লার ছেলে কাঠমিস্ত্রি নুরুল হক মোল্লা (৪২)।শুক্রবার ভোররাতে উত্তর সাকোকাঠি গ্রামের একটি ফার্নিচারের দোকানে অভিযান চালিয়ে দোনলা বন্দুকের অংশ বিশেষ এবং বন্দুকের জন্য তৈরীকৃত বাটসহ কাঠমিস্ত্রি নুরুল হক মোল্লাকে গ্রেফতার করে শরিকুল পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সদস্যরা।
পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার কাঠমিস্ত্রি নুরুল হক মোল্লা স্বীকার করেন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হুমায়ন খলিফা তার দোনলা বন্দুকের অংশ বিশেষ দিয়ে একটি বাট তৈরী করে দিতে বলেন। তিনি প্রথমে বাট তৈরী করতে রাজী না হলেও তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে বাট তৈরী করতে বাধ্য করা হয়। এ সময় হুমায়নের সঙ্গে লিটন মোল্লাও উপস্থিত ছিল।শরিকল পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফোরকান হোসেন হাওলাদার বলেন, বন্দুকের বাটসহ গ্রেফতারকৃত নুরুল হককে গত শুক্রবার দুপুরে বরিশাল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারক তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। বন্দুকের বাকি অংশ উদ্ধার এবং এর মালিককে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।