দেশ স্বাধীন হওয়ার পর সুন্দর এক এয়ারপোর্ট পেলাম ঢাকা এয়ারপোর্ট।
এইতো কিছুদিন আগেও এয়ারপোর্টে ট্রলি গোছানোর কাজ করা ছেলেটাও নিজেকে জমিদার ভাবতো।
বোডিং ইমিগ্রেশন সবাই কেমন খিটখিটে স্বভাবের ছিলো।
মেক্সিমাম ইমিগ্রেশন অফিসাররা নিজেদের কেমন মালিক মালিক ভাবতো,আমাদের চাকরের নজরে দেখতো।
দেখি তাকান,কই যান কি জন্য যান,কি করেন,কত বেহুদা প্রশ্ন কইরা যে হয়রানী করতো,এদের স্যার স্যার না বললে,জাত যায় এদের।
আজকের দৃশ্য সম্পূর্ণ ভিন্ন পেলাম।
প্রতিটা কর্মচারী সহযোগীতা পূর্ণ আচরণ করছেন।
বোডিং ইমিগ্রেশন অফিসাররে পাসপোর্ট দিতেই,সবাই খুব আন্তরিকতার সাথে কাজ করছেন,ভাই বলে সম্মোধন করছেন।
ইমেগ্রেশন অফিসার বললো আলামীন ভাই বাইতুল্লাহ গিয়ে আমাদের দেশের বন্যাকবলিত মানুষের জন্য দোয়া কইরেন।
কথাটা শুনে আবেগপ্রবণ হয়ে গেলাম,কতটা মায়া নিয়ে বললো।
চেক ইন কিংবা বিমাণে উঠার সময় অনেক মুরুব্বি ভালোভাবে না বুঝলেন,আংকেল বলে সুন্দরভাবে বুঝিয়ে দিচ্ছে।
স্বৈরাচার মুক্ত স্বাধীন দেশের সবকিছুই সুন্দর।
এই পরিবেশ অব্যাহত থাকুক আজীবন।
লিখেছেন Al Amin Arafat