বগুড়া সদর থানাধীন ঘনিয়াতলা স্কুল মাঠে প্রকাশ্যে কুপিয়ে চাঞ্চল্যকর রবিন (২২) হত্যাকান্ডের মামলার দীর্ঘদিন পলাতক অন্যতম প্রধান ৩ জন আসামীকে গাজীপুরের সদর থানা এলাকা হতে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১ ।
গত ৯ জুন ২০২২ তারিখ আনুমানিক ১২৩০ ঘটিকায় বগুড়া জেলার সদর থানাধীন ঘনিয়াতলা স্কুলের উত্তর পার্শ্বে ভিকটিম মোঃ রবিন ইসলাম (২২) এর গুরুতর রক্তাক্ত জখম ও মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে এবং বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম ও প্রিন্ট ইলেক্টট্রনিক্স মিডিয়ায় গুরুত্বের সাথে প্রচারিত হয়। উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে এজহারনামীয় ০৯ জন আসামীসহ অজ্ঞাতনামা ৫/৬ জনের বিরুদ্ধে বগুড়া সদর থানায় একটি হত্যা মামলার দায়ের করে। যা বগুড়া সদর থানার মামলা নং-৩৭ তারিখ ১১/০৬/২০২২, ধারা-৩০২/৩৪/১১৪ পেনাল কোড। মামলা রুজু হওয়ার পর থানা পুলিশ এজহারনামীয় কয়েকজন আসামী গ্রেফতার করলেও হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত মূল ০৩ আসামী ধরা ছোয়ার বাইরে থেকে যায়। পলাতক হত্যাকান্ডের মূলহোতা ০৩ জন আসামী গ্রেফতার ও সর্বোচ্চ শাস্তির দাবীতে গত ২১ জুন ২০২২ ইং তারিখে মানববন্ধন করা হয়। বগুড়া সদর থানা পুলিশ র্যাব-১ নিকট উক্ত মামলার মুল আসামীদের গ্রেফতারের জন্য আইনগত সহায়তা কামনা করলে র্যাব-১ এর আভিযানিক দল বিষয়টি আমলে নিয়ে আসামী গ্রেফতারের জন্য গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে।
ঘটনাসূত্রে জানা যায়, ভিকটিম মোঃ রবিন ইসলাম (২২) এর সহিত আসামীদের এলাকার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে উভয়ের মধ্যে বিরোধ ছিল। উক্ত বিরোধের জেরে ঘটনার দিন গত ০৯ জুন ২০২২ তারিখ অনুমান ১১০০ ঘটিকার সময় ভিকটিম মোঃ রবিন ইসলাম (২২), পিতা-মোঃ রফিকুল ইসলাম, মাতা-রুপালী বেগম, সাং-ভাটকান্দি, থানা-বগুড়া সদর, জেলা-বগুড়া (বগুড়া সদর থানাধীন) ঘনিয়াতলা স্কুল মাঠে বিদায় অনুষ্ঠান দেখার জন্য উপস্থিত হলে ভিকটিমকে একা পেয়ে আসামীগণ পূর্ব পরিকল্পিতভাবে উৎ পেতে থেকে দেশীয় অস্ত্র দা, লোহার রড, ছুরি দ্বারা ভিকটিমকে এলোপাতারি ভাবে গুরুত্বর কাটা রক্তাক্ত জখম করতঃ মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে পুলিশ ভিকটিমের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।
এরই ধারাবাহিকতায় অদ্য ০৭ মে ২০২৩ তারিখ রাত আনুমানিক ০৩০০ ঘটিকার সময় র্যাব-১, উত্তরা, ঢাকার একটি আভিযানিক দল বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষন করে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গাজীপুরের সদর থানাধীন ইপসা গেইট এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে উক্ত চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার অন্যতম মূল আসামী ১) মোঃ রিতু (২৪), পিতা-শাহজাহান আলী, জেলা-বগুড়া, ২) মোঃ সাগর (২৬), পিতা-আব্দুল মান্নান, জেলা-বগুড়া এবং ৩) মোঃ নয়ন (২৩), পিতা-রফিকুল ইসলাম, জেলা-বগুড়াদের’কে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় আসামীদের নিকট হতে ০২ টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। র্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত আসামীগণ উক্ত হত্যাকান্ডের সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত বলে স্বীকার করে।
। গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।