বছরের প্রথম দিন প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেয়ার কথা থাকলেও বরিশাল বিভাগের বিদ্যালয়গুলোতে নতুন বই তুলে দিতে ব্যর্থ হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর।
বিভাগের বিভিন্ন উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রতি শ্রেণির প্রথম ১০ জন একটি করে বই পেলেও বাকিরা পায়নি। এতে হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরেছে শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, নানা সঙ্কটের কারণে এবার বছরের প্রথম দিন সব শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নতুন বই দেয়া সম্ভব হয়নি। তবে এক সপ্তাহের মধ্যে সবাইকে বই দেয়া হবে।
সন্তানকে নিয়ে বই নিতে আসা ফাতেমা নামের এক অভিভাবক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বই না পেয়ে শিশুদের মন খারাপ হয়েছে, আজ হাতে পেলে ওরা অনেক খুশি হতো।
বরিশাল জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর থেকে জানা যায়, নতুন শিক্ষাবর্ষে মোট ১৩ লাখ ২১ হাজার ২০টি বইয়ের চাহিদা রয়েছে, এর মধ্যে তিনের এক অংশও শিশু বই পায়নি।
বরগুনা সদর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ওমর ফারুক ভূঞা বলেন, উপজেলায় মাদরাসা, ইবতেদায়ী, মাধ্যমিক ও প্রাথমিকে মোট চাহিদা এক লাখ ১৯ হাজার ৩১৭টি বইয়ের। তবে এসেছে ৫০ হাজার ১৩৮টি। এর মধ্যে চতুর্থ, পঞ্চম ও সপ্তম শ্রেণির একটি বইও আসেনি। প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির আংশিক বই পেয়েছি। মাধ্যমিকের ষষ্ঠ থেকে নবম পর্যন্ত তিনটি বিষয়ের বই আসেনি। মাদরাসার ষষ্ঠ, সপ্তম এবং অষ্টম শ্রেণির কোনো বই এখনো পৌঁছায়নি। যার জন্য এ সমস্যাটা হয়েছে।
শুধু বরগুনা সদর উপজেলা নয়, ভোলার তজুমদ্দিন, পটুয়াখালীর গলাচিপা, দুমকি, ঝালকাঠির রাজাপুর, কাঁঠালিয়া উপজেলা শিক্ষা অফিসেও কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া যায়। এ সকল উপজেলার শিক্ষা কর্মকর্তারাও হতাশার কথা জানিয়েছেন।
বাকেরগঞ্জ উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মুজাহিদুল ইসলাম জানান, সময়মতো প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির বই পৌঁছাতে না পারায় কিছুটা সমস্যা হয়েছে। অন্যদিকে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষার বিভাগীয় অফিস থেকে জানানো হয়েছে, ঝালকঠি ও পটুয়াখালী জেলার চাহিদাপত্র না পাওয়ায় সাময়িক এই সমস্যা হয়েছে।