বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, এই ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত কেউ ঘরে ফিরবে না। এরই মধ্যে বর্তমান অনির্বাচিত দখলদার সরকারের পতনের আন্দোলনে দেশবাসী আজ রাস্তায় নেমেছে।
রোববার, এপ্রিল ৩০, ২০২৩, দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বাম গণতান্ত্রিক ঐক্যের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, চলমান আন্দোলনকে সফল জায়গায় নিয়ে যাওয়ার জন্য আমাদের আলোচনা হয়েছে। আন্দোলনকে সফলভাবে সামনের দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য সমন্বয়ের মাধ্যমে আমরা কীভাবে কাজ করব এবং কর্মসূচির বিষয়ে আলোচনা করেছি। আমরা ঐকমত্যে পৌঁছেছি এই অবৈধ ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত কেউ ঘরে ফিরে যাব না। আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে জাতিকে সামনে নিয়ে এই আন্দোলন সফল করব। সব বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর অবস্থান পরিষ্কার হয়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের সমস্যা আজ একটাই। জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া, জনগণের গণতান্ত্রিক, রাজনৈতিক, সাংবিধানিক অধিকার, ভোটাধিকার, আইনের শাসন, বাকস্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, জীবনের নিরাপত্তা, চরম দুর্নীতি-লুটপাট সবকিছুর মূলে একটি জায়গায়, সেটা হচ্ছে জনগণকে বাইরে রেখে জোর করে তাদের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে ক্ষমতা দখল করা। যারা জোর করে বসে আছে, তাদের অপসারণই হচ্ছে বেরিয়ে আসার একমাত্র পথ।
আমীর খসরু বলেন, যারা জোর করে বসে আছে তাদের পতন ছাড়া এ সব সমস্যার সমাধান হবে না। সরকারকে পতনে বাধ্য করতে হবে। একটি নিরপেক্ষ সরকারের মাধ্যমে নির্বাচন হতে হবে। তার মাধ্যমে জনগণ তাদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করবে। একটি নির্বাচিত সংসদ, একটি নির্বাচিত সরকার গঠন হবে, যারা জনগণের কাছে জবাবদিহি করবে। মানুষ বাংলাদেশের মালিকানা ফিরে পাবে।
দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দেশের রাষ্ট্রপতি থেকে শুরু করে নিম্ন পর্যায়ের লোকরাও বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে, কিন্তু খালেদা জিয়াকে সেখান থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। তাকে চিকিৎসার জন্য বাইরে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। পরিবারের পক্ষ থেকে বারবার বলার পরেও যেতে দেওয়া হচ্ছে না। এসবের উদ্দেশ্য একটাই—ওনাকে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে বাইরে রেখে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের যে প্রক্রিয়া, সেটা যেন তারা সফলভাবে করতে পারে। তারা ভীত শঙ্কিত হয়ে ওনাকে আজ রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হতে দিচ্ছে না। এটাই একমাত্র উদ্দেশ্য।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও লিয়াজোঁ কমিটির সদস্য বরকত উল্লাহ বুলু ও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও লিয়াজোঁ কমিটির সদস্য সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। অন্যদিকে গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের সমন্বয়ক প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দলের মহাসচিব হারুন আল রশিদ খান, সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডাক্তার সামছুল আলম, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক হারুন চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।