পটুয়াখালীতে ফেরিঘাটে টাকা খেয়ে রাতে গাড়ি পারাপারের অভিযোগে কোস্টগার্ড টহল দলের মারধরে চালক ও খেয়াঘাটের মাঝিসহ অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন। পরে মারধর করা হয়নি মর্মে তাদের কাছ থেকে ভিডিও স্বীকারোক্তি নেয় কোস্টগার্ড।
আহতদের মধ্য খেয়াঘাটের মাঝি আব্বাস হাওলাদার ও হিরন শিকদার পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে ভর্তি রয়েছে। অপর আহত পায়রাকঞ্জু ফেরিঘাটের ফেরিচালক স্বপন মিস্ত্রি ও সওজের অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী ফজলুর রহমান কোস্টগার্ডের হুমকি-ধমকিতে প্রাইভেটভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন। এছাড়া সোলেমান নামে এক মানসিক ভারসাম্যহীনকেও মারধর করে তারা। বৃহস্পতিবার রাত ৪টার দিকে পটুয়াখালী-মির্জাগঞ্জ ফেরিঘাটে এ ঘটনা ঘটে।
ফেরি বিভাগের (অব.) কর্মচারী ফজলুর রহমান বলেন, ওই রাতে পটুয়াখালী প্রান্ত থেকে একটি গাড়ি পারাপার করে মির্জাগঞ্জ প্রান্তের ঘাটে অবস্থান করছিলেন। ভোর রাতে ফেরি ইজারাদারের কর্মী হিরন মোবাইল ফোনে কল দিয়ে পটুয়াখালী ঘাটে যেতে বলেন। ফেরি নিয়ে ঘাটে পৌঁছামাত্র হাতকড়া লাগিয়ে টাকা খেয়ে রাতে গাড়ি পারাপারের অভিযোগে এলোপাতাড়ি পেটানো শুরু করে কোস্টগার্ড।
এ বিষয়ে পটুয়াখালী কোস্টগার্ড স্টেশন কমান্ডারের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করে জড়িত কোস্টগার্ড সদস্যদের নাম ও পরিচয় জানতে চাইলে তিনি কোনো তথ্য না দিয়ে পরবর্তীতে প্রতিবেদককে অন্য একটি নম্বরে কথা বলার পরামর্শ দেন।পরবর্তীতে ওই নম্বরে কল করা হলে তিনি বিষয়টি অমানবিক স্বীকার করে সমাধান এবং ভুক্তভোগীদের চিকিৎসা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে আশ্বস্ত করেন। তবে কোস্টগার্ডের এ কর্মকর্তা গণমাধ্যমে নাম বলতে অস্বীকৃতি জানান।