শুক্রবার, ০১:২১ অপরাহ্ন, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
নোটিশ :
মানব সেবায় নিয়োজিত অলাভজনক সেবা প্রদানকারী সংবাদ তথ্য প্রতিষ্ঠান।

ফেব্রুয়ারিতে এলো ৮ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স

সময়ের কণ্ঠধ্বনি ডেস্ক:
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ৩ মার্চ, ২০২৪
  • ৩৩ বার পঠিত

রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়ে সুখবর এসেছে, যা গত ৮ মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। সদ্য সমাপ্ত ফেব্রুয়ারিতে প্রবাসী বাংলাদেশিরা ২১৬ কোটি ৬০ লাখ ডলারের সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা দেশে পাঠিয়েছেন। স্থানীয় মুদ্রায় বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী এই অর্থের পরিমাণ ২৩ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। গত মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ২১০ কোটি ডলার। এর আগে গত জুন মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ২২০ কোটি ডলার। দেশের চাপের মধ্যে থাকা বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভের জন্য যা কিছুটা হলেও স্বস্তির কারণ হয়েছে। রোববার রেমিট্যান্সের উপর বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, এক বছরের আগের একই মাসের

তুলনায় গত ফেব্রুয়ারিতে প্রবাসী আয় বেড়েছে ৩৮.৪৬ শতাংশ।

ব্যাংকাররা বলছেন, বাজারে ডলারের ঘাটতি থাকায় অনেক ব্যাংকই রেমিট্যান্সের ডলার কেনার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে যে দর নির্ধারণ করা হয়েছে, তার চেয়ে বেশি দামে কিনছে। আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় জানুয়ারিতে রেমিট্যান্সে ৭.৬৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছিল। তখন ২১০ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স পায় বাংলাদেশ, যা ছিল সাত মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ।এর আগে ২০২৩ সালের জুনে ২১৯ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স দেশে আসে, যা একক মাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আসার রেকর্ড করে।
২০২৩ সালের শেষ মাস ডিসেম্বরে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ১৯৯ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে রেমিট্যান্স এসেছে ১৯৫ কোটি ৮৮ লাখ ডলার, ফেব্রুয়ারিতে ১৫৬ কোটি ডলার, মার্চে ২০২ কোটি, এপ্রিলে ১৬৮ কোটি, মে মাসে ১৬৯ কোটি, জুনে  ২২০ কোটি, জুলাইয়ে ১৯৭ কোটি, আগস্টে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ, সেপ্টেম্বর মাসে ১৩৩ কোটি, অক্টোবরে ১৯৭ কোটি, নভেম্বরে ১৯৩ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।

 

গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ২ হাজার ১৬১ কোটি ৭ লাখ ডলার। আগের ২০২১-২০২২ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স এসেছিল ২ হাজার ১০৩ কোটি ১৭ লাখ ডলার। ২০২০-২১ অর্থবছরে রেমিট্যান্স এসেছিল ২ হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ ডলার, যা সর্বোচ্চ পরিমাণ রেমিট্যান্স।
এদিকে জানুয়ারিতে রেমিট্যান্স বাড়লেও, তাতে রিজার্ভের পতন থামেনি, যা ওই সময় ২০ বিলিয়ন ডলারের নিচে বা ১৯.৯৪ বিলিয়নে নেমে আসে। ২০২৩ সালের মার্চের তুলনায় এপ্রিলে প্রবাসে কর্মরত বাংলাদেশিদের দেশে পাঠানো অর্থের পরিমাণ ১৫ কোটি ১০ লাখ ডলার কমে যায়। রেমিট্যান্সের ডলার কিনতে ব্যাংকগুলোর কম দর দেওয়াই যার পেছনে ভূমিকা রাখে। তবে প্রতিবছর রমজান ও ঈদ উপলক্ষে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়তে দেখা যায়। বর্তমানে রেমিট্যান্সের এক ডলার কেনার জন্য ঘোষিত দর হচ্ছে ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2021 SomoyerKonthodhoni
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com