প্রেমের টানে ভারতের তামিলনাড়ু থেকে বরিশালে আসেন নৃত্যশিল্পী প্রেমকান্ত। প্রেমিকার সঙ্গে দেখাও হয়েছিল। দেখা হওয়ার পরদিনই যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় প্রেমিকা। অনেক চেষ্টা করেও সন্ধান না পেয়ে দেশে ফিরে গেছেন তিনি।
ভারতের তামিলনাড়ু থেকে বাংলাদেশের বরিশালে এসে প্রেমিকাকে পথে প্রান্তরে খুঁজে বেড়াচ্ছেন। শিকার হয়েছেন মারধরেরও। থাকতে হয়েছে বরিশালে এয়ারপোর্ট পুলিশের কাছেও।
প্রেমকান্ত জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার ড্যান্স দেখে প্রেমে পড়েন সরকারি বরিশাল মহিলা কলেজের এক ছাত্রী। তিন বছর তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক চলছে। এক পর্যায়ে দুই পরিবারের মধ্যে ভাল সম্পর্ক তৈরি হয়। প্রেমিকাকে একনজর দেখার জন্য তামিলনাড়ু থেকে ২৪ জুলাই বাংলাদেশের বরিশাল নগরীতে আসেন তিনি। ২৫ জুলাই বরিশালের সরকারি মহিলা কলেজে তাদের দেখা হয়। এরপর তারা দুপুরের এক সঙ্গে খাবার গ্রহণ করেন। একদিন পর তিনি জানতে পারেন- এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক আছে তার প্রেমিকার। এরপর হঠাৎ যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় তার প্রেমিকা।
প্রেমকান্ত বলেন, ‘প্রেমিকা আমকেই ভালোবাসে। তা না হলে আমাকে বরিশাল আসতে বলতো না। দেখা হলে আবারও আমার জীবনে ফিরে আসবে সে।’
বাংলাদেশে যখন একের পর এক বিদেশি তরুণ-তরুণীদের প্রেমের সফল পরিণয়ের কথা মিডিয়াগুলো ফলাও করে প্রচার করছে, তখন প্রেমকান্তের এই কাহিনী ভিন্ন আবহের জন্ম দিয়েছে। নিজ দেশ ভারতের তামিলনাড়ুতে ফিরে যাবার আগে প্রেমকান্ত তার প্রেমিকার দেখা পেতে চান।