ফেইসবুকে পরিচয়, এরপর প্রেম। অবশেষে খাগড়াছড়িতে এসে তরুণীর সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন পাকিস্তানি এক যুবক।
তরুণীর নাম তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি (২১)। তিনি খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলার বেলছড়ি ইউনিয়নের উত্তর পাড়ার আলী হোসেনের মেয়ে। খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজের সম্মান শ্রেণির তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী বৃষ্টি। আর মো. আলিম উদ্দিন (২৮) পাকিস্তানের লাহোর সিটির বাসিন্দা। তিনি একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করেন।
গত বৃহস্পতিবার খাগড়াছড়ি আদালতে তাদের বিয়ে হয়। রবিবার বেলছড়িতে নিজ গ্রামে বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় বলে জানান বৃষ্টির বাবা আবুল হোসেন। ওই তরুণী তার স্বামীর সঙ্গে পাকিস্তানে চলে যাবেন বলে জানিয়েছেন স্বজনরা।
জানা গেছে, আট মাস আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেইসবুকে আলিম উদ্দিনের সঙ্গে তাহমিনার পরিচয় হয়। পরে কথা বলার এক পর্যায়ে দুজনের মধ্যে প্রেম হয়। প্রেমের টানে ১১ ডিসেম্বর আলিম উদ্দিন পাকিস্তান থেকে চট্টগ্রাম হয়ে মাটিরাঙ্গার বেলছড়িতে আসেন। এরপর উভয়ের সম্মতিতে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তারা। এখন তাহমিনার বাড়িতে অবস্থান করছেন আলিম উদ্দিন।
বাবা আবুল হোসেন বলেন, ‘তাহমিনা তার স্বামীর সঙ্গে পাকিস্তানে চলে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। তার পাসপোর্ট ও ভিসার কাজ চলছে। ততদিন পর্যন্ত তারা বাংলাদেশে থাকবেন। দোয়া করি তারা যেন সুখী হয়।’
পাকিস্তানি আলিম উদ্দিন বলেন, ‘আট মাস ধরে আমাদের প্রেমের সম্পর্ক। আমার পরিবার বিষয়টি অবগত আছেন। পরিবারের সম্মতিতে বিয়ে করেছি। আমি অল্প কিছু বাংলা বলতে ও বুঝতে পারি, তাহমিনা আমাকে তা শিখিয়েছে।’
মাটিরাঙ্গা থানার ওসি মো. তফিকুল ইসলাম তৌফিক বলেন, ‘পাকিস্তানি ওই যুবকের অন্য কোনো উদ্দেশ্য আছে কি-না সেজন্য তার ওপর নজর রাখা হচ্ছে।’