হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক বলেছেন, ‘প্রয়োজনে তুরাগ নদীতে আমাদের রক্তে লাল করে দেব, তবুও ইজতেমা ময়দানের মাঠ ছাড়ব না।’
আজ রবিবার বিকেল ৩টায় ওলামা মাশায়েখ ও তৌহিদি জনতার উদ্যোগে টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা ময়দান সংলগ্ন স্টেশন রোড-কামারগাঁও রাস্তায় সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
মাওলানা মামুনুল হক বলেন, ‘হেফাজত বলে গালি দিয়েছেন সহ্য করেছি কিন্তু ইজতেমা নিয়ে কোনো ষড়যন্ত্র হলে তা সহ্য করব না। আমরা সরকারি সিদ্ধান্ত মোতাবেক ইজতেমা ময়দানে আছি, যেকোনো বিশৃঙ্খল পরিবেশ তৈরি হলে তার দায়ভার স্থানীয় প্রশাসনকে নিতে হবে। বর্তমান সরকারের ধর্ম উপদেষ্টা আলেম সমাজের প্রতিনিধি দেশের বাহিরে থাকার সুযোগে একটি মহল বিশ্ব ইজতেমা নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। এ ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় প্রয়োজনে তুরাগ নদীতে আমাদের রক্তে লাল করে দেব।’
মাওলানা ওবায়দুল্লাহ ফারুকের সভাপতিত্বে এবং মাওলানা কেফায়েত উল্লাহ আজহারীর সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন, মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব, মাওলানা ফজলুল করিম কাসেমী, মুফতি আমানুল্লাহ হক, মুফতি মাসুদুল করিম, মাওলানা হামেদ জাহেরী প্রমুখ।
উল্লেখ্য, গত ২৯ নভেম্বর থেকে ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ তাবলীগ জামাতের শুরায়ী নেজাম জোবায়ের পন্থীদের প্রথম পর্বে জোর ইজতেমা শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে। আগামী ২০ ডিসেম্বর মাওলানা সাদ পন্থীদের জোড় ইজতেমা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও মাওলানা জোবায়ের পন্থীরা সাদ পন্থীদের জোর ইজতেমা করার জন্য ইজতেমা ময়দানে প্রবেশ করতে দিবে না বলে ঘোষণা দেন। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এদিকে আজ বিকেলেও টঙ্গী স্টেশন রোড এলাকায় সেনাবাহিনী টহল অব্যাহত ছিল।