আড়াই মাসের বেশি সময় পর বরিশালে ফিরে বড়সড় মহড়া দিয়েছেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বিদায়ীমেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ। দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আজ শুক্রবার বিকেলে তাঁর নেতৃত্বে নগরে আনন্দশোভাযাত্রা বের করা হয়। তবে ওই শোভাযাত্রায় নবনির্বাচিত মেয়র আবুল খায়ের আবদুল্লাহ ও তাঁর অনুসারী নেতা–কর্মীদেরদেখা যায়নি।
বিকেল সাড়ে চারটায় নগরের সদর রোডে সোহেল চত্বরে দলীয় কার্যালয়ের সামনে নির্মিত মঞ্চে বেলুন ও পায়রা উড়িয়েশোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন সাদিক আবদুল্লাহ ও তাঁর সমর্থক জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা। তবে সেখানেখায়ের আবদুল্লাহর অনুসারী নেতারা উপস্থিত ছিলেন না। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে মঞ্চ থেকে সাদিক আবদুল্লাহর বন্দনায়রচিত গান বাজানো হয়। শোভাযাত্রাটি নগরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
সাদিক আবদুল্লাহ আজ অনুষ্ঠানে কোনো বক্তব্য দেননি। তবে সকালে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানানোর পরসাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘মেয়র থাকতে হবে, এমন কোনো কথা নেই। আমার চাচা মেয়র, মানে আমিমেয়র। আমি আগেও জনগণের সঙ্গে ছিলাম, এখনো থাকব।’
এর আগে গতকাল রাতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সাদিক আবদুল্লাহ বলেন, ‘কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশনা ছিল, আমি যেনঢাকায় থেকে নির্বাচন পরিচালনা করি। সেই অনুযায়ী আমি আমার নেতা–কর্মীদের সংগঠিত করে নির্বাচন পরিচালনা করেছি।এর ফলে নৌকা বিজয়ী হয়েছে।’ আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত মেয়র পদে আছি। আমারসৌভাগ্য যে আমি আমার চাচার হাতে দায়িত্ব হস্তান্তর করব। এরপর আমি দলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালনকরব।’
চাচার সঙ্গে অভিমান বা বিরোধের বিষয়ে সাদিক আবদুল্লাহ বলেন, ‘আমি বা আমার চাচা কি এটা আপনাদের বলেছি? যদিথাকেও তাহলে সেটা পারিবারিক বিষয়, মিডিয়ায় আসবে কেন? যদি এ ধরনের কিছু থাকে, তাহলে আমার বাবা আছেন, আমাদের অভিভাবক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আছেন। কাটতি বাড়িয়ে ব্যবসার জন্য মিডিয়া এসব প্রচার করে।’