উপমহাদেশের প্রচলিত আদালতে কোন অমুসলিম বিচারক কোনো মুসলিম দম্পতির মাঝে বিচ্ছেদের রায় দিলে তা শরীয়তের দৃষ্টিতে কার্যকর হবে না। অনুরূপভাবে ধর্মনিরপেক্ষ আইন ব্যবস্থার অধীনে কোন মুসলিম বিচারক যদি বিচ্ছেদের রায় দেন এবং তা সনাতন ও স্বীকৃত ইসলামি আইন অনুসারে না হয়ে থাকে তাহলেও সেই রায় শরীয়তের দৃষ্টিতে কার্যকর হবে না।
উল্লিখিত দুটি পরিস্থিতিতেই স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক ইসলামি দৃষ্টিকোণে পূর্বের মতো বহাল ও বৈধ থাকবে।
তবে পাক-ভারত উপমহাদেশের প্রচলিত ধর্মনিরপেক্ষ আদালতের কোন মুসলিম বিচারক যদি কোনো মুসলিম দম্পতির পারিবারিক মামলা নিষ্পত্তির সময় পুরোপুরি ইসলামি আইনের ধারা অনুযায়ী তদন্ত ও ফয়সালা করেন এবং বিচ্ছেদের রায় দেন তাহলে বিচারকের রায়ের ভিত্তিতেই উভয়ের মাঝে বিচ্ছেদ হয়ে যাবে।
এমনকি স্বামী তালাক না দিলেও ইসলামি আইন অনুসারে তাদের সাংসারিক সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যাবে।
এছাড়া এসব অঞ্চলের স্থানীয় পঞ্চায়েত বা সমাজ যদি বিজ্ঞ আলেম সমন্বয়ে গঠিত হয় কিংবা কোন এলাকার মানুষজন যদি মুসলিম পারিবারিক সমস্যাসমূহ নিষ্পত্তির জন্য দক্ষ অভিজ্ঞ আলেমদের স্মরণাপন্ন হয় এবং মসজিদে, মাদ্রাসায় বা অন্য কোথাও অস্থায়ী আদালতের ঘোষণা দিয়ে সেই সমস্যার উপযুক্ত শরঈ সমাধান পেশ করা হয় তাহলে তা (ইসলামি আইন অনুসারে) ইসলামি আদালতের রায়ের মতোই কার্যকর হবে।
আমাদের জানামতে, ইংল্যান্ডসহ বহির্বিশ্বের বিভিন্ন মসজিদ ও ইসলামিক সেন্টারগুলোতে এভাবে মুসলমানদের নানা রকম ধর্মীয় সমস্যার সমাধান করা হয় নিয়মিত।
তথ্যসূত্র— রদ্দুল মুহতার-৮/১২৬, ফতওয়ায়ে শামী-৮/২৩, তাবয়ীনুল হাকাইক-৫/১১৮, ফতওয়ায়ে কাসেমীয়া-১৪/১১৪