প্রচণ্ড গরমে আর তাপদাহে রোগবালাই বাড়ছে। বিভিন্ন হাসপাতালে বাড়ছে ভিড়। গেলো কয়েকদিনে শিশু হাসপাতালের জরুরি বিভাগে রোগীর ভিড় বেড়েছে কমপক্ষে চারগুণ।
চিকিৎসকরা জানান, জ্বর-বমি ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। সেই সাথে বৃদ্ধদের বেড়েছে হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি। তাই বেশি করে পানি পানের পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
শিশু হাসপাতালের জরুরি বিভাগে রোগীদের ভিড় বেড়েছে প্রায় তিনগুণ। কদিন আগেও জরুরি বিভাগে রোগী আসতো ১০০-১৫০ জন।
বেশিরভাগ শিশুই জ্বর, পাতলা পায়খানা ও বমির উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে আসছে। জ্বরের পাশাপাশি শরীরে তৈরি হচ্ছে পানিশূণ্যতা।
চিকিৎসকরা বলছেন, এমনিতেই তীব্র তাপদাহ। তার ওপর, এ সময়টা সাধারণ ভাইরাস জ্বরের মৌসুম। সেই সঙ্গে গরমজনিত কারলে অতিরিক্র ঘাম থেকে সর্দি কাশির মতো সমস্যা বাড়ছে।
সঙ্গে যোগ হয়েছে ডায়রিয়া। শিশুদের মধ্যে টাইফয়েড ও হেপাটাইটিসে আক্রান্ত হবার সংখ্যাটাও বাড়ছে। তাই অবহেলা না করে শিশুদের চিকিৎসকের কাছে নেয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন তারা।
প্রচণ্ড গরমে বয়োজেষ্ঠ্যরা আছেন হিটস্ট্রোকের ঝুঁকিতে। বিশেষ করে নানা রোগে আক্রান্ত বৃদ্ধদের ঝুকিটা বেশি। এতে অনেক সময় মৃত্যুর ঘটনাও ঘটছে।
মুগদা জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক ডা. নিয়াতুজ জামান বলেন, শরীরের তাপমাত্রা ১০৫ ডিগ্রির উপরে উঠলেই হিটস্ট্রোকের ঝুকিও বাড়তে পারে।
তিনি বলেন, হিমশীতল বা লু-হাওয়া যে তাপমাত্রাই হোক না কেন, মানব শরীরের অভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়া তার নিজের তাপমাত্রা ৩৭.৫ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেডে নির্দিষ্ট রাখতে চায়।
এর ব্যতয় হলেই সমস্যা। এজন্য গরম আবহাওয়ায় শিশু ও ষাটোর্ধদের বাড়ির বাইরে না যাওয়া ও প্রচুর পরিমাণ তরল খাবার খেতে বলছেন এই চিকিৎসকরা।
বিশেষ করে শিশুদের পানি শরবত স্যালাইন ও মৌসুমী ফল খাবার পরামর্শ দিচ্ছেন তারা। চেষ্টা করতে হবে যতোটা সম্ভব ঘরের মধ্যে থাকা, বিশেষ করে দিনের বেলায়।
অতিরিক্ত গরমে কাউকে অসুস্থ হয়ে পড়তে দেখলে শুরুতেই তাকে আধা ঘণ্টা ঠাণ্ডায় রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। যদি তাতে সুস্থ হয়ে যান, তাহলে বুঝতে হবে, অসুস্থতা গুরুতর নয়।