ওজন কমাতে ব্যয়ামের পাশাপাশি মানতে হয় সঠিক খাদ্যাভ্যাস। এদিকে ওজন বাড়তে শুরু করলে প্রথমে পেটে মেদ বৃদ্ধি পায়। পেটের চর্বি জমলে তা থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই ব্যায়াম আর খাদ্যতালিকার দিকে নজর দেন। অনেকে আবার কঠিন ডায়েটে খাবার খাওয়া বন্ধ করে দেন। তবে মজার ব্যপার হলো এমন অনেক শাক-সবজি আছে যা আমদের পেটের মেদ বা চর্বি কমাতে সাহায্য করে। ব্যায়াম আর ডায়েটের সঙ্গে এসব সবজি খেলে সহজেই বাড়তি মেদ থেকে মুক্তি মিলবে।
যে সব শাকসবজি নিয়মিত খেলে পেটের মেদ ঝরে যাবে।
পালংশাক : পালংশাকে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিকর উপাদান থাকে। পালংশাক খেলে পেট বেশি সময় ধরে ভরা থাকে। তাই ক্ষুধাও কমে যায়। ফলে পেটের মেদ কমাতে প্রতিদিনের খাবারে পালংশাক রাখলে উপকার পাওয়া যায়। গবেষণায় পাওয়া তথ্য মতে, পালংশাকে থাকা থাইলাকয়েড নামের উপাদান ক্ষুধা ও খাওয়ার ইচ্ছা ৯৫ শতাংশ কমিয়ে দেয়।
শসা : অনেকে জানি, শসা শরীর ও ত্বক সতেজকারক সবজি। শশা শরীরে পানির পরিমাণ বাড়ায়। শসায় ক্যালরির পরিমাণ কম যাতে পেট ভরে খেলেও শরীরে ক্যালরির পরিমাণ খুব একটা বৃদ্ধি পায় না। এটি শরীর থেকে অনেক দূষিত উপাদান বের করে দিতে সক্ষম।
করলা : তেতো স্বাদের কারণে করলা সবার পছন্দ না-ও হতে পারে। কিন্তু করলায় বিদ্যমান যৌগগুলো ইনসুলিন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। করলা খেলে রক্তের শর্করা থাকে নিয়ন্ত্রণে এবং পেটের মেদ কমে। তেতো স্বাদের হলেও রান্না করলার পাশাপশি করলার জুসও পেটের মেদ কমাতে সাহায্য করে।
ব্রকলি : ব্রকলিতে প্রচুর আঁশ থাকে, যা বাড়তি চর্বি ঝরাতে সহায়তা করে। ব্রকলি খেলে পেটের নিচে জমা ভিসেরাল ফ্যাট কমে যায়। ব্রকলি ভেজে খাওয়া ছাড়াও সালাদ, স্যুপ ইত্যাদিতে খেলে সুফল মেলে।
ফুলকপি : ফুলকপি ওজন কমানোর সহায়ক সবজি। এতে ক্যালরি কম, আঁশ বেশি। তাই ফুলকপি খেলে দ্রুত পেট ভরে যায়। ফুলকপিতে আছে ইনডোলের মতো বেশ কয়েকটি যৌগ, যা পেটের মেদ কমায়।
গাজর : গাজরে ক্যালরির পরিমাণ কম, আঁশের পরিমাণ বেশি। এতে আছে প্রচুর ভিটামিন ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান। গাজর বেশি খেলে পেট ভরা থাকে এবং ক্যালরি গ্রহণের পরিমাণ কমে।
লাউ : লাউয়ে ক্যালরির পরিমাণ কম, পানির পরিমাণ বেশি। এ কারণে লাউ ওজন নিয়ন্ত্রণে আদর্শ খাবার। লাউয়ে থাকা উচ্চমাত্রার পানি ও আঁশজাতীয় পদার্থ দ্রুত পেট ভরিয়ে দেয় এবং ক্যালরি গ্রহণের ইচ্ছা কমিয়ে দেয়।