পুলিশ তার প্রজাতান্ত্রিক শপথ ভুলতে বসেছে মন্তব্য করে মানবিক পুলিশের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।
রোববার জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনগুলোর ব্যানারে শাহবাগে অনুষ্ঠিত সমাবেশে পুলিশী হামলার তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানিয়ে গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ ও সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল এ মন্তব্য করেন।
পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে সন্ধ্যা ছয়টার দিকে কয়েক প্রগতিশীল ছাত্রসংগঠনের উদ্যোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকা থেকে বাম সংগঠনগুলোর বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। মিছিলকারীরা শাহবাগ ও কাঁটাবন মোড় ঘুরে আবার শাহবাগ মোড়ে এসে মূল সড়কসংলগ্ন ফুটপাতে বিক্ষোভ সমাবেশে মিলিত হন। শান্তিপূর্ণ সমাবেশের শেষ পর্যায়ে পুলিশ বিক্ষোভরত সংগঠনের নেতা-কর্মীদের ওপর হঠাৎ লাঠিপেটা শুরু করে। কর্মীদের পাশাপাশি ব্যাপক লাঠিপেটা করা হয় সংগঠনগুলোর শীর্ষ নেতাদেরও।
বিবৃতিতে ছাত্রদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বলেন, এই ন্যাক্কারজনক বেআইনি হামলায় অন্তত ২০ জন আহত হয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
পুলিশের এই হামলার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় শ্রাবণ ও জুয়েল বলেন, একটি গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের সংগ্রামে আন্দোলনরত ছাত্র সংগঠনের ওপর পুলিশের এই খুনে হামলা পুরো জাতিকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলো যে, এটি সম্পূর্ণভাবে ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র। তাই বিদ্যমান রাষ্ট্র ব্যবস্থায় গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক অধিকারের কোন ঠাঁই নাই, ঠাঁই নাই। ছাত্রদল এমন ন্যায়সঙ্গত আন্দোলনে পুলিশি হামলার প্রতিবাদ না করে কিছুতেই থাকতে পারে না।
ছাত্রদল নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, ছাত্রদল বরাবরের মতোই ছাত্র-জনতা ও রাষ্ট্রের রক্ষাকবচ হিসাবে ভূমিকা রেখে আসছে। তবে দুঃখ তো এখানেই যে, জনতার বন্ধু পুলিশ আজ ছাত্র-জনতার জন্যে অসুরের চেহারার অবতীর্ণ হয়েছে। তাই তো মিছিলে আজ কোনো নারী পুলিশের উপস্থিতি ছাড়াই বাকশালি পুলিশরা আমাদের আন্দোলনরত বোনেদের ওপর হামলে পড়ে রক্তাক্ত করেছে। পুলিশ আজ তার প্রজাতান্ত্রিক শপথ ভুলতে বসেছে।
পুলিশের এমন পৈশাচিক আচরণ কোনো সভ্য সমাজ কিছুতেই মেনে নিতে পারে না। ছাত্রদল নেতৃদ্বয় জনগণের বন্ধু হিসাবে মানবিক পুলিশের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। পাশাপাশি এই বর্বর হামলার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও ক্ষতিগ্রস্ত প্রগতিশীল ছাত্রনেতাদের সুচিকিৎসাসহ ক্ষতিপূরণের দাবি জানান।