পিরোজপুর সদর উপজেলার শংকরপাশা ইউনিয়নে চুরির সময় হাতেনাতে ধরা পড়ে গণপিটুনিতে নিহত হয়েছে কবির মৃধা নামে এক ব্যক্তি। নিহত কবির মৃধা (৩৭) উপজেলার বাদুরা গ্রামের কাদের মৃধার ছেলে। শুক্রবার ভোররাতে সদর উপজেলার বাঁদুরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গণপিটুনিতে নিহত কবিরের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৬টি চুরির মামলা রয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, শুক্রবার ভোররাত তিনটার দিকে চুরির উদ্দেশ্যে কৌশলে ঘরের দরজা খুলে কবির বাদুরা গ্রামের মোশাররফ হোসেন মৃধার ছেলে পনির মৃধার ঘরে প্রবেশ করে। এ সময় পনিরের স্ত্রী শাহিদা চোরের উপস্থিতি টের পেয়ে জেগে ওঠে। তখন কবিরকে ধরতে গেলে সে শাহিদার উপর হামলা করে।
এ সময় শাহিদার স্বামী পনির জেগে উঠলে কবির তাদের দুইজনকে মারধর শুরু করে এবং তাদেরকে কামড়ে গুরুতর জখম করে। পরবর্তীতে তাদের ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা ছুট এসে ঘরের মধ্যে থেকে কবিরকে আটক করে গণপিটুনি দেয়।
এ সময় তারা ঘটনাস্থল থেকে লোহার শাবলসহ চুরির কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করে। পরবর্তীতে ভোরবেলা কবিরকে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় আহত পনির এবং তার স্ত্রীর শাহিদাকে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহত কবির ওই এলাকার একজন দুর্ধর্ষ চোর ছিল বলে জানিয়েছেন শংকরপাশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন মল্লিক স্বপন। পিরোজপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইদুর রহমান জানান, নিহত কবিরের বিরুদ্ধে পিরোজপুর, বাগেরহাট ও ইন্দুরকানী থানায় ৬টি সিধেল চুরির মামলা রয়েছে। কবির চুরির উদ্দেশ্যেই রাতে ওই বাড়িতে গিয়েছিল বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। খবর পেয়ে সকালেই ঘটনাস্থলে গিয়েছিল পুলিশ। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।