পিরোজপুরে বাস, অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলের ত্রিমুখী সংঘর্ষে সাতজন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন আরো ১০ জন।
শুক্রবার (৮ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পিরোজপুর-ইন্দুরকানী সড়কের ঝাউতলা নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
পিরোজপুর ফায়র সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার মো: রেজওয়ান এবং পিরোজপুর সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশিকুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পিরোজপুর ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার দুপুর ১২টার কিছু আগে পিরোজপুর থেকে ইন্দুরকানীর কলারণের উদ্দেশে ৩১৭ ক্রমিকের একটি যাত্রীবাহী বাস ছেড়ে আসে। পথে ঝাউতলা নামক স্থানে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মোটরসাইকেলকে সাইট দিতে গিয়ে বাসটি মোটরসাইকেল ও অটোরিকশার সাথে ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয়। এতে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে অটোরিকশাটিকে একটি গাছের সাথে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনজন মারা যায়। পিরোজপুর সদর হাসপাতালে নেবার পর আরো চারজন মারা যায়।
দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে পাঁচজন পুরুষ ও দুজন নারী রয়েছেন।
তারা হলেন- জেলার ইন্দুরকানী উপজেলার গদারহাওলা গ্রামের আক্কেল আলী হাওলাদারের ছেলে হেমায়েত হাওলাদার (৫০), একই গ্রামের ইদ্রিস ফরাজীর ছেলে খায়রুল ফরাজী (২০), সদর উপজেলার উত্তর শংকরপাশা গ্রামের জাকির হাওলাদারের ছেলে নাঈম (১৯) একই গ্রামের জাহাঙ্গীর মুন্সীর স্ত্রী মানসুরা বেগম (৫০), আমিনুল ইসলামের স্ত্রী জেসমিন আক্তার (৩০), দক্ষিণ নামাজপুর গ্রামের সুলতান মীরের ছেলে আলমগীর মীর (২৫) এবং ভান্ডারিয়া উপজেলার মাদারসী গ্রামের মোদাচ্ছের হাওলাদারের ছেলে স্বপন হাওলাদার।