ভোলা জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নূরে আলমের জানাজায় অংশ নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেছেন, পিতার কাঁধে সন্তানের লাশ—এর চেয়ে কষ্টের আর কিছু নেই।
মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে নতুন নয়, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর একদলীয় শাসন পোক্ত করার জন্য ১৫ বছর ধরে ৬ শ’ নেতাকর্মীকে গুম করেছে। ৩৫ লাখ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এখন আর ক্রন্দন নয়, আমাদের জেগে উঠতে হবে। এই ভয়াবহ কর্তৃত্ববাদী ফ্যাসিবাদী সরকারের জুলুম নির্যাতনের হাত থেকে এই জাতিকে মুক্ত করতে হবে। আমাদের গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করতে হবে। গণতন্ত্রের মাতা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে বিদেশ থেকে দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে। এজন্য প্রয়োজন সমগ্র জাতিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়া। এজন্য প্রয়োজন সমগ্র জাতির ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন।’
বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামরে নুরে আলমের জানাজায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ৫ থেকে ৭ আগস্ট বিএনপি সারাদেশে শোক পালন করবে। দলীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে। ৬ আগস্ট ছাত্রদলের, ৭ আগস্ট কৃষক দলের, ৮ আগস্ট যুবদল এবং ১০ আগস্ট জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের উদ্যোগে ঢাকায় সমাবেশ করা হবে।
এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি ডা: জাফরুল্লাহ চৌধুরী, এনপিপির ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, জাগপার খন্দকার লুতফর রহমান, এলডিপির ড. রেদোয়ান আহমেদ, ন্যাপ ভাসানীর অ্যাডভোকেট আজহারুল ইসলাম, এলডিপির শাহাদাত হোসেন সেলিম, জাতীয় দলের সৈয়দ এহসানুল হুদা, এনডিপির আবু তাহের প্রমুখ।
এর আগে রাজধানীর নয়াপল্টনস্থ বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দুপুর ১টার দিকে ভোলা জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মরহুম নূরে আলমের গায়েবানা জানাজায় জনতার ঢল নেমেছে।
জানাজা নামাজে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপির সিনিয়র নেতা ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আমির খসরু মাহমুদ, হাবিব উন নবী খান সোহেল, খাইরুল কবির খোকন, আমান উল্লাহ আমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম, অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, যুবদল সভাপতি সুলতান সালাহ উদ্দিন টুকু, সাধারণ সম্পাদক মনায়েম মুন্না যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ভূইয়া জুয়েল প্রমুখ।
জানাজায় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের প্রায় সাড়ে সাত হাজার নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।